১. আমরা যখন সৃষ্টির সকল কিছুতেই ঈশ্বরের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই, তখন তাঁর সকল সৃষ্টজীবের জন্য আমাদের হৃদয়মন প্রভুর প্রশংসায় মেতে উঠে এবং তাদের সঙ্গে একাত্ন হয়ে তাঁর আরাধনায় নিরত থাকে (লাউদাতো সি - ৮৭)।
২. শুধু পরিবারের মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করলে স্বার্থপর হয়ে উঠব; বরং বনের জীব-জন্তু, আকাশের পাখি, বাতাসে উড়ে বেড়ানো মশা-মাছি, ভূমির পোকা-মাকড় ও সরিসৃপ, নদী ও জলাভূমির মাছ, সমুদ্রের সকল জীবের কল্যাণের বিষয়ও ভাবি। সৃষ্টিকর্তা এদেরও সৃষ্টি করেছেন, প্রকৃতিতে এদের একটি করে ভূমিকা দেওয়া আছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য এদেরও দরকার আছে। এদের একটি যদি আমরা নিঃশেষ করে ফেলি তবে প্রকৃতি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে ফলে মানুষের কষ্ট বাড়বে।
৩. বাড়িতে তাই খালি জায়গায় গাছ রোপণ ও নির্ধারিত গাছ রক্ষণাবেক্ষণ জন্য ছেলেমেয়েদের দায়িত্ব বন্টন করে দিতে পারি। শিশুদের চিত্রাঙ্কণ, সঙ্গীত ও নৃত্য চর্চায় প্রকৃতি ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়সমূহে উৎসাহিত করা যায়। গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা শহরে বাসাবাড়িতে টবে বারান্দায় বা ছাদে অথবা জানালার পাশে শাক-সবজি-ফুল বাগান তৈরি করি ও রক্ষণাবেক্ষণ করি। এতে মনে প্রশান্তি আসবে, স্বাস্থ্যকর খাবারের যোগান হবে এবং বাজার খরচ সঞ্চয় করতে পারব।
ছবি: এম্মা ডি'কস্তা ফেইসবুস পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন