বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

আমরা সবুজ, আমরা সুন্দর: আসুন, ফল ভালবাসি, গাছ রোপন করি- এলিসন সুঙ::


১. পৃথিবীতে মানুষের সাথে গাছপালার সম্পর্ক আদিকাল থেকে। সাধারণত জানি গাছপালার নাম হচ্ছে  উদ্ভিদ। উদ্ভিদ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জলবায়ুকে সুন্দর রাখে। গাছপালা পরিবেশের  সৌন্দর্য পাশাপাশি মানুষকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে থাকেন।বেঁচে থাকার জন্যে গাছপালা মাটি থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। বাংলাদেশেরই সন্তান  বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু এই কথা বলেছেন "গাছের প্রাণ আছে"।তিনি ছিলেন একজন সুনামধন্য গবেষক ও তার গবেষণা ক্ষেত্র হল গাছপালা নিয়ে। গাছপালা গবেষক বা গাছপালা বিষয়ে যারা অধিক লেখাপড়া করেছে, তাদের মতে পৃথিবীতে  চার লক্ষাধিক  বিভিন্ন প্রজাতি গাছপালা রয়েছে। পৃথিবীতে সারি সারি প্রহরীন্যায় দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।ফলের গাছ ফুলের গাছ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পৃথিবীতে বৃদ্ধি করে, প্রসারিত করছে নিজরূপ।মানুষের দৈনন্দিন জীবন-যাপন গাছপালা প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতি ফলের গাছ থেকে আমরা খাবার জন্য ফল সংগ্রহ করে থাকি। ফল আমাদের শরীরে আমিষ, শ্বেতসার, ভিটামিন,  লৌহ ও ক্যালসিয়াম যোগান দিয়ে থাকেন। স্বাভাবিক জীবন-ধারনের জন্য এগুলো অতিপ্রয়োজন।নিয়মিত ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

২. আজ পেয়ারা ফল সম্পর্কে উল্লেখ করব।ইদানীং বাংলদেশে গ্রাম-গঞ্জে প্রায় সব জায়গাতে পেয়ারা পাওয়া যায়।বসতবাড়ি আঙ্গীনায়, শহরে বাসাবড়ির ছাদে টবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে  চাষ করা হয়। দেশের মানুষের চাহিদা পূর্ণ করতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় পেয়ারা বাগান।সাধারণত পেয়ারাকে বাংলাদেশের আপেল বলা হয়।পেয়ারা অন্যান্য দেশীয় ফলের মধ্যে একটি স্থান দখল করেছে। দাম সীমিত থাকায়  দেশের সর্বসাধারণ মানুষ ক্রয় করে খেতে পারছে। পেয়ারা অন্যান্য সুনামধন্য ফলের তুলনায়  গুনগতমান কোনদিকে কমতি নেই। পেয়ারা, আপেলের চেয়ে প্রায় ৫০গুন বেশী ভিটামিন সি রয়েছে।  ভিটামিন সি ছাড়াও পেয়ারায় আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ প্রভৃতি। পেয়ারা একটি উৎকৃষ্ট এবং পুষ্টিকর ফল হিসাবে সকলের পরিচিত। "পেকটিন" প্রচুর থাকায় পেয়ারা থেকে সহজে জেলী তৈরী করা যায়।আয়ুর্বেদী বিশেষজ্ঞদের মতে পেয়ারা অনেক গুণাবলী রয়েছে। যেমন-
         (ক) পেয়ারা তৃষ্ণা মেটায় এবং বলকারক।
         (খ) কচিপাতা সিদ্ধ করে কয়েক দিন কুলি করলে দাঁতের অসুখ ভাল হয়।
          (গ) পাতলা পায়খানা হলে, কচিপাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

বাগান- এলিসন সুঙ পাত্রখোলা পুঞ্জি, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
৩. বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের পেয়ারা জন্মে। পেয়ারা রূপ,আকৃতি, ওজন এলাকার নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়।বাংলাদেশে পেয়ারা জাতের মধ্য অন্যতম স্বরূপকাঠি, কাঞ্চননগর, মুকুন্দপুরী প্রভৃতি। বর্তমানে দেশে উন্নতমান জাতের কাজী পেয়ারা চাষ হচ্ছে। এটি অন্যান্য পেয়ারা তুলনায় আকার-আকৃতি বড় এবং ওজন বেশী।গুনগতমান ও কার্যকারীতা বিচার বিশ্লেষণ করলে, পেয়ারা ফল মানবদেহে সুস্থ সবল থাকার জন্য অধিক ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই বাংলার প্রবাদ বচনে বলা হয় "বার মাসে বার ফল, না খেলে যায় রসাতল "। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে পেয়ারা চাষ করতে হবে। সেই সাথে বিভিন্ন  ফল খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।তাহলে ভিটামিন অভাবজনিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সুতরাং লাউদাতো সি সপ্তাহে শুভ কামনা, সুস্থ থাকুন #সুস্থ থাকুন।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন