বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

অবরুদ্ধ সময়ে কয়েকজন বন্দি শিশুর মুক্তি


১. অবরুদ্ধ সময়ে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ভার্চুয়াল শিশু আদালতের কার্যক্রম চালু হয়েছে। এতে বুধবার (১৩ মে, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ) সাত শিশুর জামিন মিলেছে।করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে নিয়মিত আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় শিশুদের বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে।করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে বিচারের অপেক্ষায় আটক থাকা শিশুদের প্রথম দলের মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুকল্যাণ সংস্থা ইউনিসেফ।

২. এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ বলছে-  প্রথম দফায় ওই সাত শিশুর মুক্তির পথ অনুসরণ করে আগামী দুই সপ্তাহে বেশ কয়েকশ শিশু মুক্তি পেতে পারে। ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি তোমো হোযুমিকে বলেছেন- “আমি সর্বান্তকরণে ভার্চুয়াল শিশু আদালত চালুর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করছি এবং বন্দিজীবন থেকে শিশুদের মুক্তি পাওয়াকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেছেন- “শিশুদের কল্যাণ ও সুরক্ষা অবশ্যই কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আমাদের কার্যক্রমের কেন্দ্রে থাকবে। সব ক্ষেত্রেই জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা শিশুদের জন্য এই মহামারীকে একটি স্থায়ী সংকটে রূপ নেওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারি।” 

৩. অবরুদ্ধ সময়ে গত মার্চে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আটক শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। এই সংখ্যা কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোর ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী- ছোটখাটো অপরাধের বিচার বা সাজার অপেক্ষায় থাকা এক হাজারের বেশি শিশু বর্তমানে তিনটি কেন্দ্রে আটক রয়েছে। 

৪. করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব কালে কেন্দ্রগুলোতে সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লজিসটিকস সহায়তা, প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল পানি, অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা  ও সীমিত হাইজিন সুবিধা থাকার ফলে সেখানকার শিশু ও কর্মীদের সংক্রমণ ঝুঁকি বেশি। অন্যদিকে  শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বা সেলফ আইসোলেশনে রাখা খুবই কঠিন, এমন কী সীমিত জায়গার কারণে তা একেবারেই সম্ভব নয়। এসব কেন্দ্র সংক্রমণ বিস্তারের হটস্পট হয়ে উঠতে পারে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি গত ৯ মে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম সচল করার অধ্যাদেশ জারি করেছেন। বাংলাদেশে প্রথম ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম শুরু হয় ১২ মে, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ। আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করে সমাজ সেবা অধিদপ্তর এবং ইউনিসেফ কেন্দ্রসমূহে সহযোগিতা দিচ্ছে (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ১৪ মে, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ) ।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন