বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০

অবরুদ্ধ সময়ে তাঁর উপস্থিতি এবং কিছু উপলব্ধি


১. দুষ্টরা চিৎকার করছে যখন ভালো লোকেরা  নীরব: প্রদেশপাল পিলাত যখন যিশুর কোন অপরাধ খুঁজে পেলেন না তখন সে জিজ্ঞেস করলেন- “বল, তোমরা কী চাও।” শত্রুরা চিৎকার করে ‘বারাব্বাস’ এর মুক্তি দিয়ে যিশুর শাস্তি দাবী করল। বারাব্বাস একজন কুখ্যাত বন্দি ছিল। পিলাত জিজ্ঞেস করলেন- ‘তাকে (যিশু) নিয়ে আমি এখন কী করব’। শত্রুরা আবার চিৎকার করে বলে উঠল- “তাকে ক্রুশে দাও।” যিশুর শিষ্যরা, আপনজনেরা ও তাঁর অনুসারীরা তখন নীরব ছিল আর এ সুযোগে দুষ্টলোকেরা চিৎকার করে নিজেদের কু-মতলব বাস্তবায়িত করল। পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন- সমাজে সৎ ও ভাল লোকেরা যখন নীরবতা সংস্কৃতি, ঔদাসীন্যের সংস্কৃতি আশ্রয় নিয়ে নিজেদের দায়মুক্ত করতে চায় তখনই দুষ্টলোকেরা চেঁচামেচি করে,  তাদের কু-মতলব হাসিল করে নেয়। নিকটতম আত্মীয়-স্বজন, নেতানেত্রী এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও অনেক মানুষ মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। কারণ যাদের হাতে ক্ষমতা আছে তাদের অনেকের মমতা নেই, মমতা থাকলে সমাজ সুরক্ষিত হবেই। অন্যদিকে ভাললোকেরা নীরব তাই নিপীড়ন ও নির্যাতন বেড়েই চলছে।

২. লুক্কায়িত ভক্তজনগণ: বাণীপ্রাচারের সময় অনেক ইহুদি ও অ-ইহুদি জনগণ যিশুর লুক্কায়িত অনুসারী ছিল। ভিন্ন ভিন্ন কারণে তারা প্রকাশিত হতে পারেনি অথবা প্রকাশিত হতে চায়নি। শিষ্যদের অন্যতম পিতর দৃঢ়ভাবে বলেছেন- যিশুর সাথে জেলে যেতে রাজি আছেন, মরতে যেতেও রাজি আছেন। কিন্তু যিশু যখন শত্রুদের দ্বারা নির্যাতিত হলেন তখন পিতর ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন এবং তিনবার তাঁকে অস্বীকার করেছেন। যিশুর শত্রুদের হাতে সমর্পিত অবস্থায় অন্য শিষ্যরাও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে সবকিছু দেখেছেন। কিন্তু পরক্ষণে যিশুর বাণী স্মরণ করে অনুতপ্ত হয়ে  আবার ফিরে এসেছেন। পিতর একসময় ভয়ে তিনবার যিশুকে অস্বীকার করেছেন, পরক্ষণে পবিত্র আত্মায় উদ্বুদ্ধ হয়ে হাজার হাজার জনগণের সামনে নির্বিঘ্নে যিশুর সম্পর্কে সাক্ষী  দিয়েছেন। ঐশ দয়া ও অনুগ্রহই তাঁর অন্তর রূপান্তরিত করেছে ফলে যিশুর সক্রিয় অনুসারী হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে যুদাস ঐশ অনুগ্রহ গ্রহণ করতে অপারগ ছিল ফলে তার পরিণাম ছিল ধ্বংস। আমরা হয়তো কেউ কেউ এ দুর্যোগ সময়ে ভয়ে লুক্কায়িত, যদি তাঁর অনুগ্রহের দিকে মনোযোগ দেই তবে বুঝতে পারব আমাদের অনেকেরই হয়তো সুযোগ আছে অভাবীদের পাশে দাঁড়াবার। এমন দুর্যোগ সময়ে একজন ধর্মীয় ও সামাজিক নেতা যখন জনগণের পাশে থাকেন তখন দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে তারা জনগণকে তাদের পাশে পাওয়ার প্রত্যাশা করতে পারেন।

৩. আপনজনেরা কাছেই থাকবে: জেরুশালেমে যিশুর প্রবেশের সময় যারা চিৎকার করে তাঁকে রাজা হিসেবে স্বীকার করেছিল তাদের অনেকেই যিশুর যাতনাভোগ ও ক্রুশমৃত্যুর সময় দূরত্ব নিয়েছে। কিন্তু তাঁর মা, মায়ের সাথে কয়েকজন নারী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ শিষ্যরা যিশুর সাথে সাথেই ছিলেন। তারাই যিশুর পুনরুত্থানের প্রথম সাক্ষী হয়ে উঠেছেন। করোনাভাইরাসের দুর্যোগের সময়ে আমরা পরিবারের আপনজনদের সাথেই আছি। অবরুদ্ধ সময় আমাদের ভাবতে সুযোগ দেয়- পরিবার ও পারিবারিক জীবন আমাদের কাছে কতটা মূল্যবান। আমরা খুজঁছি- পরিবার তুমি কোথায়? অথচ এটিকে আমরা কতটা অবহেলা করে থাকি। করোনা আমাদের নিজ ঘরে অবরুদ্ধ করছে, বুঝেছি পরিবারই আশ্রয়স্থল। আমরা পরিবারকে গুরুত্ব দিচ্ছি এবং আপনজনদের সাথেই আছি। পরিবারই প্রার্থনার গৃহ হয়ে উঠেছে, সৃষ্টিকর্তা পরিবারে নীরব অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন।

৪. যত্নবান হওয়াটাও একপ্রকার আহ্বান: এ বছরের আমাদের পুনরুত্থান পর্বটি শিষ্যদের অভিজ্ঞতার মতই। একদিকে করোনাভাইরাসের ‘ধ্বংস ও মৃত্যুর আক্রমণ’ অন্যদিকে আমাদের মনে অনিশ্চয়তা ও সংশয় বেড়ে চলছে। যিশুর মৃতদেহ সমাধিস্থানে রেখে শিষ্যরা একই অভিজ্ঞতা করেছে। যিশুর পুনরুত্থানের পরে কয়েকজন নারীদলটি  সক্রিয় ছিল,  যিশুর মৃত্যু তাদের মন হতাশায় পঙ্গু করে ফেলেনি। বরং তারা একটি সাধারণ কাজ অসাধারণভাবে করেছে। তারা যিশুর দেহ লেপনের জন্য সুগন্ধি-মশলা প্রস্তুত করেছে, যা সামাজিক একটি প্রচলিত প্রথা ছিল। নিস্তার জাগরণীর ধর্মোপদেশে পোপ ফান্সিস বলেছেন- “তারা তাদের ভালবাসার দুয়ার বন্ধ করেনি; তাদের অন্তরের অন্ধকারে দয়ার শিখা প্রজ্জলিত রেখেছে।” আমাদের ভাবতে হবে, আমরা কি ভয়ে ভালবাসার দূয়ার বন্ধ রেখেছি? ছোট ছোট সেবাকাজেই যিশুর সাক্ষাৎ পেতে পারি। এ সময় অনেকেই নিজের ও পরিবারের প্রতি আরো বেশী যত্নবান হয়ে উঠেছি। কারোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সময়ে যারা ভয়ে পঙ্গু না হয়ে সেবাকাজে আত্মনিয়োগ করেছে পোপ মহোদয় তাদের সেবাকাজে অভিভূত হয়ে বলেছেন- ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, মিশনারি, স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশসহ সকল সেবাকর্মীরা দুর্যোগ সময়ের বীরসেনা ও সাধুসম সেবাকর্মীদল।

৫. তাঁকে জীবন্ত দেখতে মা প্রার্থনারত: যিশুর মা মারীয়া আজ আমাদের সকলের 'মা' । যিশুকে যখন সমাধিতে রাখা হয়েছে মা মারীয়া আরেকটি নতুন জীবনের প্রত্যাশা নিয়ে গভীরভাবে প্রার্থনারত ছিলেন। পোপ মহোদয় বলেছেন- “যিশু মাটিতে শোয়ানো বীজ যিনি পৃথিবীকে নতুন জীবন দান করবেন এবং মা মারীয়া প্রার্থনা ও ভালবাসা দ্বারা এই আশাটি প্রস্ফুটিত হতে সহায়তা করেছেন।” প্রার্থনা আমাদের জন্য একটি অন্যতম আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য যা বিভিন্ন সময় দেখি ও অভিজ্ঞতা করছি। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব সময় একটি অন্ধকার ও বিরক্তকর অভিজ্ঞতা যা আমাদের কাছে অভিশাপের মত হতে পার। ঐ মুহূর্তে প্রার্থনা আমাদের জীবনে গভীর অভ্যন্তরীণ রূপান্তর আনে, শান্তির সূচনা করে। মা মারীয়ার আদর্শ অনুসরণ করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নতুনজীবনের জন্য আমরা প্রার্থনা করতে পারি। সকলে সুরক্ষা পেতেও গভীর বিশ্বাস নিয়ে পরিবারে প্রার্থনারত সময় কাটাতে পারি।  এমন কী কিছু সময় পরে অপ্রত্যাশিত আনন্দ ও আশীর্বাদের অভিজ্ঞতা করতে পারি।  

৬. সত্য গোপন করাও একপ্রকার দুর্নীতি: যাজক ও ফরিসিরা একদল প্রহরী নিয়ে গিয়ে যিশুর সমাধির পাথরখানির ওপর সীলমোহর করল ও প্রহরী মোতায়েন করে সমাধিটি সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করল। যিশু যখন পুনরুত্থান করলেন, খবরটি চাপা দেওয়ার জন্য যাজকেরা তখন প্রবীনদের পরামর্শে প্রহরীদের কিছু টাকা দিল এবং বলতে বলল তারা ঘুমিয়ে গেলে যিশুর শিষ্যরা তাঁর দেহটাকে লুকিয়ে তুলে নিয়ে গেছে। প্রহরীরা টাকা নিয়ে তাদের নির্দেশ মতোই কাজ করল। নিজেদের মধ্যে বুদ্ধি পরামর্শ করে সত্যকে গোপন করতে সব চেষ্টাই করল। সত্যকে গোপন করাও একপ্রকার দুর্নীতি, যা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটছে।

৭. দুঃখ-কষ্টের পাথরটা সরিয়ে দেবে কে? যিশুর দেহে গন্ধদ্রব্য লেপন করার জন্য রবিবার দিন খুব সকালে মাগদালার মারীয়া, যাকোবের মা মারীয়া, আ সালোমে সমাধিস্থানে এলেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলেন- তাদের জন্য কে এতভোরে সমাধিগুহার মুখ থেকে বিশাল আকৃতির পাথরখানা একপাশে সরিয়ে দেবে।তাদের জন্য যিনি ছিলেন আশা, ভালবাসা ও বিশ্বাস তিনিই আজ গুহাবন্দি আছেন । আর একখানা বিশাল আকৃতির পাথর গড়িয়ে দিয়ে গুহার মুখটি বন্ধ ক’রে দেয়া হয়েছে। পাথরখানা হল হতাশার প্রতীক, দুঃখকষ্টের প্রতীক, বেদনা-নিপীড়নের প্রতীক যা জীবনকে অন্ধকারে ফেলে রাখে। এই অন্ধকারে আলোর সন্ধান দিবে কে? তখনই অবাক হয়ে তাঁরা দেখলেন মস্তবড় পাথরখানা একপাশে গড়িয়ে দেওয়াই হয়েছে। দীর্ঘ শুভ্র পোশাক-পরা একটি যুবক ডান দিকে বসে আছেন। তাদের মনের অন্ধকার ভেদ করে আশা, ভালবাসা ও বিশ্বাসের আলো আবার প্রজ্বলিত হয়েছে। পোপ মহোদয় বলেছেন- আমাদের জীবনের কষ্টের পাথর সরিয়ে দেবে কে? আমরা বিশ্বাস করি স্বয়ং যিশু খ্রিস্ট, যিনি জীবন্ত। খ্রিস্ট যিশু এখনও আমাদের মাধ্যে আছেন, পিতা ঈশ্বর যা যা অঙ্গিকার করেছেন তিনি সবই রক্ষা করেছেন। এখনও তিনি তাঁর অঙ্গিকার রক্ষা করবেন। আমরাও অভাবী ভাইবোনদের জীবনের কষ্টের পাথর সরিয়ে দিতে পারি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে। অভাবীদের নিকট আমরা তো অপর খ্রিস্ট হয়ে উঠতে পারি।

৮. মানুষ সেবাকর্মী, মানুষ ধ্যানীও: শোকাচ্ছন্ন দু’জন শিষ্য হতাশা নিয়ে পায়ে হেঁটে এম্মাউসের  রাস্তায় গ্রামাঞ্চলের দিকে যাচ্ছিলেন। যিশু তখন তাঁদের দেখা দিলেন। যিশু বললেন- কি নির্বোধ তোমরা। প্রবক্তাদের কথা অন্তর থেকে বিশ্বাস করতে তোমাদের দেরী হচ্ছে কেন? যিশু তাঁদের শাস্ত্রের কথা বুঝিয়ে দিলেন। খ্রিস্টবিশ্বাসী হিসেবে আমরা একদিকে যিশুর সেবাকর্মী আবার অন্যদিকে বাইবেলের কথা  অন্তরে বুঝতে ধ্যান করার জন্যও আহুত। কাজ হল ধ্যান-প্রার্থনার ফল, ব্যক্তিগত ধ্যানে তাঁর বাণীর প্রকৃত অর্থ আমরা বুঝতে পারি।

৯. কাউকেই পিছনে ফেলা যাবে না: পুনরুত্থিত যিশু যখন শিষ্যদের সাক্ষাৎ দেন তখন টমাস সাথে ছিলেন না। সে যিশুকে নিজের চোখে দেখে তবেই বিশ্বাস করতে চাইলেন। যিশু টমাসের জন্য অপেক্ষা করেন, পিছিয়ে থাকা শিষ্যকে বঞ্চিত করেননি। যিশু টমাসকে দেখা দিলেন এবং টমাস বিশ্বাসী হয়ে উঠলেন। যিশু যেমন শিষ্যদলে টমাসকে সম্পৃক্ত করলেন তেমনি আমাদের সমাজে যারা বিশ্বাসে দুর্বল তাদেরকেও বিশ্বাসীদের সমাজে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ দুর্যোগে অতি দরিদ্র, বিপদাপন্ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সকলকে সহায়তার মাধ্যমে দুর্গতি জয় করতে পারি। পোপ মহোদয় বলেছেন- অনুদান প্রদানের সময় স্বজনপ্রীতি বা কারো কারো প্রতি ভিন্ন নীতি অনুসরণ করা ঠিক হবে না, সকল গরিবরাই ন্যায্য পাওনার অধিকারী।

১০. সাক্ষাতে সাক্ষাতে সাক্ষ্যদান: যিশু মাগদালার মারীয়াকে দেখা দিলেন, মায়ে সাথে সাক্ষাৎ করলেন, এম্মাউসের পথে দু’জন শিষ্যকে দেখা দিলেন। এভাবে পুনরুত্থিত যিশু ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলের সাথে সাক্ষাৎ করতে করতে শিষ্যদের অন্তরে বিশ্বাস সুদৃঢ় করেছেন। খ্রিস্টভক্তগণ একে অন্যের সাথে নিজেদের বিশ্বাসের অভিজ্ঞতা সহভাগিতা করতে করতে যিশুকেই প্রচার করার সুযোগ পায়। পোপ ফ্রান্সিস বিভিন্ন দেশে তীর্থযাত্রায় ঠাকুরদাদা, ঠাকুরমা, নানা-নানীদের বলেছেন- তাদের নাতী-নাতনীদের খ্রিস্টবিশ্বাসের গল্প শুনাতে যেন তারাও বিশ্বাসে সুদৃঢ় হওয়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে। যাজক ও মিশনারিগণ খ্রিস্টভক্তদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের সাথে বিশ্বাস সহভাগিতা করার মধ্য দিয়ে খ্রিস্টবিশ্বাস আরও সুদৃঢ় করতে পারে। সামাজিক দূরত্ব থেকেও কিছু কিছু যাজক ঘরবন্দি খ্রিস্টভক্তদের সাথে পবিত্র সাক্রামেন্তের আশির্বাদ ও নিজেদের উপস্থিতির মাধ্যমে ভক্তজনগণকে উদ্বুদ্ধ করছেন। পোপ মহোদয় তাদেরকে 'পাশের দরজার বীর বা সাধু' হিসেবে প্রশংসা করেছেন।

১১. স্বাভাবিক তবে ‘নতুন স্বাভাবিক’: পুনরুত্থিত খ্রিস্ট জীবন্ত, তবে তিনি নতুনজীবন এনেছেন। তাঁর প্রতি বিশ্বাসী হয়ে আমরা স্বর্গীয় জীবনের অংশীদার হয়ে উঠি। করোনাভাইরাস মহামারীর পর সমাজে ও পরিবেশে রূপান্তর হওয়ার একটা সুযোগ রয়েছে। ইংলন্ডের বিশপ জন আরনল্ড বলেছেন-  করোনা দুর্যোগের পর আমরা আগের 'স্বাভাবিক' অবস্থায় আর ফিরে যেতে নাও পারি তবে আমরা যেখানে ফিরে যাব সেটা ‘নতুন স্বাভাবিক’ অবস্থা বলা যায়। অর্থাৎ আমরা দুর্যোগের পর সব পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে পাব না । একদিকে প্রকৃতি ও পরিবেশে একটা নবায়ন দেখতে পাব অন্যদিকে আর্থিকভাবে, ব্যবসায়িক দিক থেকে অনেক পরিবর্তন মোকাবেলা করতে হবে। আমরা একটা 'নতুন স্বাভাবিক' পরিবেশে ফিরে যাব, আমরা কীভাবে আামাদের 'নতুন স্বাভাবিক' অবস্থাটা দেখতে চাই তা নিয়ে এখনই ভাবতে হবে।

(লেখাটিতে পোপ ফ্রান্সিস এর অনুধ্যানবাণীসমূহ এবছর পাস্কা পর্বের সময়কালে তাঁর ধর্মোপদেশে প্রদত্ত ভাটিকান নিউজ ওয়েবপেইজ থেকে সংগৃহীত হয়েছে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন