রবিবার, ৭ জুন, ২০২০

প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক ৬টি চ্যালেঞ্জ



পোপ ফ্রান্সিস 'লাউদাতো সি' পত্রে আমাদের অভিন্ন বসতবাটির ৬টি সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ বা ঝুঁকি তুলে ধরেছেন । এখানে অতি সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হল-
১. দূষণ, বর্জ্য ও ছুঁড়ে-ফেলা সংস্কৃতি প্রতিপালন- বাড়িতে রান্না-বান্নার অবশিষ্টাংশ, প্লাস্টিক-পলিথিন, অব্যবহৃত জিনিসপত্র, অফিসে অব্যবহৃত ডিজিটাল যন্ত্রাংশ, হোটেল ও দোকানের পঁচা খাবার, প্যাকিং এ ব্যবহৃত উপাদানসমূহ, নিত্যদিনের অব্যবহৃত জিনিস, ব্যক্তিগভাবে চলার পথে মুখের থুতু ও নাকের ময়লা,  বোতল, প্লাস্টিক, পলিথিন,  ছুঁড়ে ফেলার মানসিকতার ফলে আমাদের আবাসস্থল এই জগৎটি দিনদিনই বিশাল এক নোংরা নর্দমা, ময়লা-আবর্জনা ও সর্বনাশা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হচ্ছে; যা অতিমাত্রায় বিষাক্ত ও তেজস্ক্রিয়ায় রূপ নিচ্ছে, যা মাবনদেহের জন্য হুমকিস্বরূপ;  

২. জলবায়ু পরিবর্তন- এটি একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ, জলবায়ু অস্বাভাবিক ও ভয়ঙ্কর উষ্ণতাবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছি, এ বিষয়ে যদিও বেশিরভাগ মানুষের ঔদাসীনতা রয়েছে; 

৩. অনিরাপদ ও দুষ্প্রাপ্য পানি- বিশ্বের অনেক স্থানে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির অভাবে দূষিতপানি পান করে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে অমানবিক কষ্ট পাচ্ছে এমনকি মারা যাচ্ছে; 

৪. জীব বৈচিত্র্যের বিলুপ্তি- প্রতিবছর হাজার হাজার উদ্ভিদ ও প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, একে অপরের উপরে নির্ভরশীলতার ধারণাটি আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি; 

৫. মানবজীবনের মানপতন এবং সমাজের ভাঙ্গন- অন্যতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মানব-পরিবারকে একত্রিত করার চিন্তাভাবনা; বৈশ্বিক পরিবর্তনের ফলে সমাজ থেকে কিছু মানুষ বহিষ্কার হচ্ছে, সেবার অসম বন্টন ও ব্যবহার, সহিংসতা, মাদক ব্যবসা, যুবাদের মধ্যে মাদকাসক্তি, পরিচয় বিভ্রাট, সামাজিক বন্ধনের বিচ্ছেদ, আন্তর্ব্যক্তিক সম্পর্কে অসন্তোষ, বিবাহ বিচ্ছেদ, অভিবাসী সমস্যা, মানবপাচার এবং ক্ষতিকর একাকিত্ববোধ এসব মানবিক বিষয়সমূহ সকলকে ভাবিয়ে তুলছে; এবং 

৬. বিশ্বব্যাপী অসমতা- আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু কিছু ভারসাম্যহীনতার প্রভাব বিপদাপন্ন জনগষ্ঠেীর ওপর সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে- খনি-খননে পারদ দূষণ, সালফার ডাই-অক্সাইড দূষণ, গ্যাসের বর্জ্যে তৈরি আবর্জনার, বাণিজ্যে ন্যায়ভ্রষ্টতা, রাজনৈতিক দুর্বল সাড়াদান, রাজনীতি প্রযুক্তি ও অর্থে  উপর জিম্মি, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু অস্ত্র গবেষণার ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য বিনষ্ট, কিছু কিছু ধনী দেশ কর্তৃক অনেক দরিদ্র দেশের দুর্গতি- বেকাত্ব, পরি‌ত্যক্ত শহর, বিধ্বস্থ প্রাকৃতিক সম্পদ, বিলুপ্ত বন ও ধূসর বনানী, কৃষির দৈন্যদশা, ক্ষতবিক্ষত পাহাড়-পর্বত, দূষিত নদনদী যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে; এসব পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন