১. কভিড-১৯ দুর্গতির সময়ে বিপদাপন্নদের অর্থ বা খাদ্য অনুদান প্রদান ছাড়াও কিছু সূক্ষ্ম সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যাসমূহ আমাদের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াটা কিছু কিছু মানুষ বা সমাজ একটা কলঙ্ক বা লজ্জাজনক ব্যধি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তি বা পরিবারকে সামাজিক অস্বস্তিদায়ক পরিস্থির স্বীকার হতে হয় অথবা তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। এটি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় না, কিন্তু এটি উদ্বেগের বিষয়। অসুস্থ ব্যক্তিকে ঘরের বাইরে ফেলে রাখা, হাসপাতালে বারান্দায় রেখে চলে যাওয়া, পরিত্যক্ত বস্তু হিসেবে তাদের বিবেচনা কর, মৃতব্যক্তিকে সমাধিস্থ করা থেকে বিরত থাকা; এমনসব আচরণ করা হয় কারণ তাদের মধ্যে কভিড -১৯ আছে অথবা থাকার সন্দেহ রয়েছে এবং তাদের দ্বারা অন্যরা সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন আচরণ করাটা অমানবিক বিষয়।
২. আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারও সামাজিক বৈষম্যে স্বীকার হতে পারে, অসুস্থরা ঘৃণার পাত্র হতে পারে এবং তাদের প্রতি সামাজিক অস্বস্তিদায়ক আচরণ করা হতে পারে এমন বিবেচনা করে এসব ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের সঠিক তথ্য প্রচারে অভিনব উপায় সন্ধান করতে হবে।
৩. আজকের দিনগুলিতে সমাধিদান কাজটি আতঙ্কের পরিবেশে সমাধান করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পরে কবর দেওয়া হচ্ছে যেখানে প্রিয়জনের নিকটবর্তী হওয়ার সুযোগ নেই। যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের সাথে সমবেদনা জানানো আমাদের খুবই দরকার।
৪. সম্মতি ছাড়াই কেউ কেউ করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করছি। এখানে তারা সমাজিক অস্বস্তিদায়ক পরিস্তির স্বীকার হতে পারে এ বিষয়টিও গুরুত্বসহ বিবেচনা করাতে হবে। কভিড-১৯ রোগীদের সাথে কাজ করা স্বাস্থ্য কর্মীরাও বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছেন- ভাড়া বাড়িতে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা, ভাড়া বাড়ি ছেড়ে যেতে বলা ইত্যাদি।
৫. হতাশাগ্রস্থ সকলের প্রতি আমাদের হৃদয়ে ভালবাসা রয়েছে এবং সর্বদা তা জাগ্রত রাখা দরকার। মহামারী সময়ে আমাদের নিজেদের ভয় বুঝতে পারি। প্রত্যেক ব্যক্তিই অসীম মূল্যবান ও মর্যাদা রয়েছে। সৃষ্টিকর্তা সর্বদা আমাদের সাথে আছেন তিনি নিবিড়ভাবে আমাদের জীবনে অন্তর্ভুক্ত কারণ তাকে লকআউট করা যায় না, সৃষ্টিকর্তা লকডাউন থাকতে পারেন না।
ছবি ইন্টানেট থেকে সংগৃহীত
ছবি ইন্টানেট থেকে সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন