বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০

খুঁজতে খুঁজতে ওদের পথেই পাওয়া গেল


(সংগৃহীত) ঢাকায় এমন হাজারো শিশুর ঠাঁই রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, স্টেডিয়ামগুলোর আশপাশে। আর্থ-সামাজিক নানা টানাপড়েনে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এই শিশুদেরপরিচয় ‘পথশিশু’। 

২০০৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএসের এক জরিপ বলছে, সারা বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা ১৩ লাখ।

বাংলাদেশে পথ শিশুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে মতদ্বৈততা রয়েছে। ২০০৪ সালে বিআইডিএসের জরিপের বিষয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পথশিশু বিষয়ক সেলের প্রধান আবুল হোসেন বলেন, “এই স্টাডি অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে এবং নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই পথশিশুদের প্রকৃত সংখ্যা বর্তমানে কত, এটা না জানলে তাদের জন্য বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা তৈরি করা ‍দুরূহ হবে।”

২০০৫ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক গবেষণায় বলা হয়, দেশের শতকরা ৪১ ভাগ পথশিশুর ঘুমানোর বিছানা নেই; ৪০ শতাংশ প্রতিদিন গোসল করতে পারে না; ৩৫ শতাংশ খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে, ৮৪ শতাংশ শিশুর শীতবস্ত্র নেই; ৫৪ শতাংশ শিশুর অসুস্থতায় দেখার কেউ নেই; ৭৫ শতাংশ পথশিশু অসুস্থতায় ডাক্তার দেখাতে পারে না।

শিশুদের মাদকাসক্তির চিত্রও ভয়াবহ। শিশু অধিকার ফোরামের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৮৫ ভাগ পথশিশু মাদকাসক্ত।

তাদের ১৯ শতাংশ হেরোইন, ৪৪ শতাংশ শিশু ধূমপান, ২৮ শতাংশ নানা ট্যাবলেট, ৮ শতাংশ শিশু ইনজেকশনে আসক্ত।

৮০ শতাংশ শিশু কাজ করে জীবন টিকিয়ে রাখতে; ২০ শতাংশ শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়, ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ পথশিশু সার্বিকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। 

বাংলাদেশ পথশিশুদের নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোর নেটওয়ার্ক স্ট্রিট চিলড্রেন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক-স্ক্যান মহামারীর মধ্যে গত মার্চে রাজধানীর মহাখালী, এয়ারপোর্ট, কমলাপুর, গাবতলী, সদরঘাটসহ আটটি এলাকায় পথশিশুদের জীবনমান নিয়ে একটি জরিপ চালায়। গত ২৬-৩১ মার্চ পর্যন্ত এ জরিপ চলে।

জরিপে পাওয়া তথ্যের প্রসঙ্গে স্ক্যানের সভাপতি জাহাঙ্গীর নাকির বলেন, “জরিপে আমরা পথশিশুদের স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে ভয়াল এক অবস্থা দেখতে পাই। ওরা কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস কী সেটা জানেই না।

“সবাই একসাথেই থাকে, স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। ওরা সারাদিন ঘুরে বেড়ায় এখানে সেখানে। ওরা তো করোনাভাইরাসের ক্যারিয়ার হতে পারে।”

স্ক্যানের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, মহামারীতে কর্মসংস্থান হারনো পথশিশুরা অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।বাংলাদেশ জুড়ে পথশিশুদের জীবনমানের যখন এ হাল, তখন নড়েচড়ে বসেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রমের উদ্যোগে একটি অনলাইন সভায় আসে নানা সুপারিশ।

সে সভায় এক শিশু অধিকারকর্মী জানান, ঢাকা শহরের পথশিশুদের বর্তমান বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বাস্তব ধারণা অর্জনের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে একটি সমীক্ষা পরিচালনায় গুরুত্বারোপ করা হয়।

অনলাইন সভার সুপারিশগুলো হল-

>> করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পথশিশু, সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় শিশুদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

>> গত ২৬ মার্চ লকডাউন শুরুর পর অদ্যাবধি যেসব সেন্টার বা আবাসনে অবস্থানকারী শিশুদের অতিরিক্ত নতুন শিশুর না নেওয়ায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

>> বেসরকারি উদ্যোগে তাৎক্ষণিকভাবে পথশিশুদের সামরিক অবস্থান ও খাদ্য সরবরাহের যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তা ক্রমান্বয়ে নিয়মিত প্রোগ্রামের রূপান্তরের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।

>> সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পথশিশুদের সহায়তায় যেসব উত্তম চর্চা তাদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে তা অন্যদের সাথে বিনিময় করতে হবে।

>> ঢাকা শহরের পথশিশুদের বর্তমান বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বাস্তব ধারণা অর্জনের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করতে হবে।

>> কোভিড-১৯, নদী ভাঙ্গন অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ভালনারেবিলিটি শনাক্তকরণের লক্ষ্যে একটি ব্যাপক জরিপ সমীক্ষা পরিচালনা করতে হবে।

>> সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এবং চলমান কর্মসূচির আলোকে একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম গঠন করা জরুরি।

>> পথশিশু, সুবিধাবঞ্চিত এবং অসহায় শিশুদের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

>> পথশিশু সুবিধাবঞ্চিত এবং অসহায় শিশু যাতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ, শারীরিক, যৌন, মাদক, হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সকলে সতর্ক দৃষ্টি রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

>> পথে অবস্থানকারী শিশুরা যাতে তাদের পিতামাতা অভিভাবক বা পরিবারের ফিরে যেতে পারে সে ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রমের পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, “আমরা আগে জরিপের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। জরিপ করলে জানা যাবে শিশুরা কেন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, শিশুরা যখন পরিবার থেকে চলে আসে তখন তারা কিন্তু ভালনারেবল। তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, কেউ শারীরিক বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়।

“আমরা ইতোমধ্যে একটি কর্মপরিকল্পনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেটি চূড়ান্ত হলে আমরা পথশিশুদের নিয়ে জোরসোরে কাজ শুরু করব।”


তথ্যসূত্র: জয়ন্ত সাহা (নিজস্ব প্রতিবেদক), ৩ নভেম্বর, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম




করোনাভাইরাস মহামারী সময়েও দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা

 দেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরে মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ ও গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর সাত মাসের ‘সাম্প্রদায়িক চালচিত্র’ তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, এই সময়ে দেশে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ১৭ জন হত্যা, ১০ জন হত্যাচেষ্টার, ১১ জনকে হত্যার হুমকির, ৩০ জন ধর্ষণ-গণধর্ষণ ও নির্যাতন, ছয় জন ধর্ষণচেষ্টা, তিনজন শ্লীলতাহানির কারণে আত্মহত্যা, ২৩ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।

পাশাপাশি ২৭টি প্রতিমা ভাঙচুর, ২৩টি মন্দিরে হামলা-ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ, ২৬টি বসতবাড়ি, জমি ও শ্মশান উচ্ছেদের ঘটনা, পাঁচটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখলের ঘটনা, ৭৩টি উচ্ছেদ চেষ্টা, ৩৪ জনকে দেশত্যাগের হুমকি, ৬০টি পরিবারকে গ্রামছাড়া করা, চারজনকে ধর্মান্তরিত হতে হুমকি, সাতজনকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণ, ৮৮টি বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট, ২৪৭ জনকে দৈহিক হামলা, ২০টি পরিবারকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ বিতরণকালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আহ্বান জানানো এবং মহানবীকে কটূক্তির মিথ্যা অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।

রাণা দাশগুপ্ত বলেন, এসব সন্ত্রাসের কোনো-কোনোটির সাথে সন্ত্রাসীরা সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীর পরিচয় দিয়েছে। এই চালচিত্র সম্পূর্ণ চিত্র নয়, সমগ্র ঘটনার আংশিক মাত্র। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বাংলাদেশে নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মূল লক্ষ্য ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ভীত করে দেশত্যাগে বাধ্য করা যাতে দেশটি সংখ্যালঘু শূন্য হয়ে পড়ে।

ধর্ম অবমাননার জিগির তুলে দিনাজপুর, পার্বতীপুর ও কুমিল্লার মুরাদনগরে সংখ্যালঘু এলাকায় আক্রমণ-অগ্নিসংযোগ নারী নির্যাতন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের অপপ্রয়াসের প্রতিবাদে ও গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে, অধ্যাপক কুশল চক্রবর্তীকে হত্যার হুমকি, ধর্মপ্রাণ শহিদুন্নবী জুয়েলকে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং সংখ্যালঘুর সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এই আট দাবি পরিষদের।

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতা চন্দন বিশ্বাস, বরুণ কান্তি চৌধুরী, প্রদীপ চৌধুরী, দোলন মজুমদার, সুভাষ দাশ, অসীম দেব, হরিপদ চক্রবর্তী, অশোক চক্রবর্তী, স্বরুপ পাল ও রুবেল পাল উপস্থিত ছিলেন।



তথ্যসূত্র: চট্টগ্রাম ব্যুরো, ৩ নভেম্বর, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম




বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০

Writings of Pope Francis— Collected Short Summary

 

Writings of Pope Francis—the 266th pontiff of the Roman Catholic Church

(Collected from Aleteia, October 04 2020)

Pope Francis—the 266th pontiff of the Roman Catholic Church—was elected on March 13, 2013. Since then, he has been the most influential religious leader in the world, drawing praise and admiration from people of all faiths. All six major writings of Pope Francis—his encyclicals, bulls, and apostolic exhortations—are gathered here. The impact of his writings has been felt not just in the Catholic Church for which they were intended but throughout the world.

Lumen Fidei, June 29, 2013: The Light of Faith is an encyclical on the centrality of faith, the relationship between reason and faith, the Church’s role in the transmission of faith, and how faith results in redeeming the world.

Evangelii Gaudium, Nov. 24, 2013: The apostolic exhortation The Joy of the Gospel has been called Pope Francis’s manifesto. It challenges all Christians to approach evangelization anew and overcome complacency in order to fulfill Christ’s great mission.

Misericordiae Vultus, April 11, 2015: In The Face of Mercy, the papal bull for the Extraordinary Jubilee of Mercy in 2015, the pope urges Catholics, “We need constantly to contemplate the mystery of mercy.”

Laudato Si, May 24, 2015: Praise Be to You: On Care for Our Common Home is the landmark encyclical in which Pope Francis issued a call to the entire Church—and the world—on climate change, human responsibility, the role of faith in how we live among God’s entire creation, and the future of the planet.

Amoris laetitia, March 19, 2016: Love in the Family is an exhortation published after the Synods on the Family. In it, Pope Francis ranges in his quotations and examples from St. Thomas Aquinas and Martin Luther King Jr. to the film Babette’s Feast.

Fratelli Tutti, October 4 2020: “All brothers,” the third encyclical from Pope Francis is inspired by St. Francis. October 4, the feast of St. Francis of Assisi, the Holy Father has released a new encyclical letter, addressed to all men and women of good will. Here are 10 things you need to know about that letter. 

This third encyclical from Pope Francis is inspired by St. Francis. Today, October 4, the feast of St. Francis of Assisi, the Holy Father has released a new encyclical letter, addressed to all men and women of good will. Here are 10 things you need to know about that letter.

1 – The name of the letter, Fratelli Tutti, means “All brothers,” and is a direct quotation from the Admonitions of St. Francis. The admonition reads, “Let us all, brothers, consider the Good Shepherd who to save His sheep bore the suffering of the Cross” (Admonitions, 6.1).

2 – The letter is about fraternity and social friendship. Pope Francis writes, “It is my desire that, in this our time, by acknowledging the dignity of each human person, we can contribute to the rebirth of a universal aspiration to fraternity. Fraternity between all men and women” (Fratelli Tutti, 9).

3 – St. Francis, the inspiration for the Pope’s encyclical letter on the environment, Laudato Si’, also inspired Fratelli Tutti. The Holy Father attests, “Francis was able to welcome true peace into his heart and free himself of the desire to wield power over others. He became one of the poor and sought to live in harmony with all. Francis has inspired these pages” (Fratelli Tutti, 4).

4 – The Holy Father states that the possibility for human fraternity is grounded in the inalienable dignity of every human being. He writes, “Social friendship and universal fraternity necessarily call for an acknowledgement of the worth of every human person, always and everywhere” (Fratelli Tutti, 108). If the dignity of persons with disabilities, those experiencing poverty or those who lack access to education is threatened, “fraternity will remain just another vague ideal” (Fratelli Tutti, 109).

5 – The Holy Father, without intending an exhaustive analysis, proposes a list of “dark clouds” that inhibit the cultivation of human fraternity. Among these are: the rise of “throw-away” culture, threats to the dignity of migrants, the COVID-19 pandemic, aggression fueled by digital communication, and a loss of the love of wisdom. (Fratelli Tutti, 9-55).

6 – The theological heart of the letter is a meditation on the parable of the Good Samaritan. Pope Francis teaches, “The parable eloquently presents the basic decision we need to make in order to rebuild our wounded world. In the face of so much pain and suffering, our only course is to imitate the Good Samaritan” (Fratelli Tutti, 66). The Holy Father urges us to not be among the robbers nor to be among those who abandon the weak, but to “be Good Samaritans who bear the pain of other people’s troubles rather than fomenting greater hatred and resentment” (Fratelli Tutti, 77).

7 – Human fraternity will be nourished by a re-discovery of love. Love, which unites by drawing a person out of his/her own self, allows us to experience the depths and fullness of life. Pope Francis writes, “Love, then, is more than just a series of benevolent actions. Those actions have their source in a union increasingly directed towards others, considering them of value, worthy, pleasing and beautiful apart from their physical or moral appearances” (Fratelli Tutti, 94).

8 – The Holy Father appeals for a new kind of politics, one aimed truly at seeking the common good of all. He writes, “Lack of concern for the vulnerable can hide behind a populism that exploits them demagogically for its own purposes, or a liberalism that serves the economic interests of the powerful” (Fratelli Tutti, 155). This new politics must have at its center charity, animated by the willingness to make sacrifices and the openness required to be truly unitive.

9 – Pope Francis calls for a total eradication of the death penalty. He writes, “Today we state clearly that ‘the death penalty is inadmissible’ and the Church is firmly committed to calling for its abolition worldwide” (Fratelli Tutti, 263). Arguing that not even murderers surrender their fundamental dignity, Pope Francis sees the death penalty as an offense against the inalienable dignity of the person.

10 – The Holy Father argues that religious witness to God contributes to the common good of society. Pope Francis writes, “The effort to seek God with a sincere heart, provided it is never sullied by ideological or self-serving aims, helps us recognize one another as travelling companions, truly brothers and sisters” (Fratelli Tutti, 274).

The encyclical letter closes by commending, along with St. Francis, the example of Blessed Charles Foucald. Pope Francis notes, “Only by identifying with the least did he come at last to be the brother of all.” Such should be the goal of every Christian.


10 Things to know about the pope’s newest encyclical letter (Fr. Patrick Briscoe, OP | Oct 04, 2020, Aleteia)




রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

10 saints whose care for creation still inspires us today


The Catholic Church has made caring for creation a key tenet of the faith for centuries, long before Pope Francis wrote Laudato Si’ and placed that millennia of Catholic teaching in the context of today’s ecological crisis. As thousands of Christians around the world celebrate the Season of Creation this month, may we all find further inspiration from these 10 saints whose passion and love for God’s creation can still motivate us to act today.


St. Philip Neri, 1515-1595

St. Philip Neri is best known for his founding of the Oratory Movement, but St. Philip also is remembered and celebrated for his welcoming of vegetarianism.

Neri embraced the diet because of animal welfare. When he was given birds, he would set them free, and he preferred to let flies escape through a window rather than swat them.

His care extended to land-based animals as well. Neri would let captured mice flee to safety and often expressed sympathy for animals being taken to slaughter.

Feast day: 26 May


St. Augustine, 354-430

Pop quiz: Is the below quote about “things like mice and fleas that are real but inconvenient” from Laudato Si’ or St. Augustine?

‘‘so strong is this preference, that, had we the power, we would abolish [them] from nature altogether, whether in ignorance of the place they hold in nature, or, though we know it, sacrificing them to our own convenience.’”

Such warnings against self-centeredness in regards to nature show yet again how the Catholic Church has long been about caring for all of God’s creation.

Arthur O. Ledoux, a philosophy professor and lecturer at the Augustinian Study and Legacy at Merrimack College in the U.S., wrote about St. Augustine’s deep love for creation in “A Green Augustine: On Learning to Love Nature Well.”

“For Augustine the ideal would be to see nature as God sees it, feeling deeply both its beauty and its impermanence, loving nature without clinging to it,” Ledoux wrote.

“With such clear seeing would come love and the motivation for sustained and skillful action.”

Feast day: 28 August


St. Hildegard of Bingen, 1098-1179

Kings and queens and bishops and popes sought St. Hildegard’s counsel. But the Benedectine nun was perhaps most knowledgeable about admiring and appreciating every creature.

Among her most inspirational words:

“The Earth sustains humanity. It must not be injured; it must not be destroyed.”

“Every creature is a glittering, glistening mirror of divinity.”

“Creation is the song of God.”

“Humankind is called to co-create, so that we might cultivate the earthly, and thereby create the heavenly.”

“In Hildegard’s worldview, a beam of sunlight, the fragrance of a flower, or the graceful movement of a swan were all participants in the holy chorus of creation,” wrote Cynthia Overweg in a story titled, “Hildegard of Bingen: The Nun Who Loved the Earth.”

Feast day: 17 September

 

St. Therese of Lisieux, 1873-1897

Although she was only 24 when she died, St. Therese left behind a stacks of writings, instructions almost, on how to admire and be in awe of creation.

The below quotes are from the Society of the Little Flower, an organization dedicated to spreading devotion to St. Therese.

“Far away on the horizon we could see the great mountains . . . The sight of these beauties made a deep impression on my thoughts; I felt as if I were already beginning to understand the greatness of God and the wonders of heaven.

“The sun’s light that plays on the cedar trees, plays on each tiny flower as if it were the only one in existence; and in the same way our Lord takes a special interest in each soul.”

Feast day: 1 October


St. Benedict, 480-547

St. Benedict, the father of Western monasticism, has seen his love for creation spread throughout the world since his death more than 1,400 years ago.

One of the vows for Benedictines is “stabilitas,” the idea that one should be grounded in a community and place and establish a relationship of care and connection to that place.

Father Abbot John Klassen, OSB, writes, “As Benedictine monastics we want to be people who ‘stay in a place long enough that the spirits can influence us.’ By coming to know a place deeply . . . monastic communities will make decisions with an understanding of their consequences.”

Feast day: 11 July

 

St. Francis of Assisi, 1181-1226

Where to begin with St. Francis of Assisi, the patron saint of ecology? Perhaps Pope Francis describes his Spirit-filled time on Earth best:

“He was a mystic and a pilgrim who lived in simplicity and in wonderful harmony with God, with others, with nature and with himself. He shows us just how inseparable the bond is between concern for nature, justice for the poor, commitment to society, and interior peace.” (LS 10)

Feast day: 4 October, the final day of the Season of Creation

St. Francis of Assisi, photo by Enrique López-Tamayo Biosca


St. Kateri Tekakwitha, 1656-1679

St. Kateri Tekakwitha was 20 before she was baptized, yet her life lights the way for all those who seek to live in greater communion with creation.

In July 1677, Tekakwitha was being treated as an outcast in her community and receiving threats because of her faith. So she traveled for two months and more than 200 miles of woods and rivers to the Catholic mission of St. Francis of Xavier at Sault Saint-Louis in Canada.

There, Tekakwitha lived with other Indigenous Catholics and continued devoting her life to God. Her legacy is honored today by many organizations, including the Saint Kateri Conservation Center, which helps organizations and families convert their plots of land or yards into healthy habitats that honor the life of the patron saint of Native American and First Nations People, ecology, and the environment.

Read more: St. Kateri Center celebrates Laudato Si’

Feast day: 14 July

 Saint Kateri Habitats honor creation. Photo by Deacon Paul Kipfstuhl.


St. Kevin of Glendalough, 498 (reputedly) -618

“It is a return to that simplicity which allows us to stop and appreciate the small things, to be grateful for the opportunities which life affords us. . .” (LS 222)

St. Kevin was the model of simplicity. He lived in a cave about 30 feet above the water, according to the Glendalough Hermitage Centre. He ate little and slept on stones.

He also became friends with all creatures, much like St. Francis of Assisi would do 700 years later.

Feast day: 3 July


St. John Paul II, 1920-2005

St. John Paul II compelled Catholics to care for creation and to undergo an “ecological conversion” throughout his 27-year papacy. For him, it was personal. He often made time for creation, hiking and skiing in his native Poland and elsewhere.

Speaking in 2001, he said: “If we scan the regions of our planet, we immediately see that humanity has disappointed God’s expectations. Man, especially in our time, has without hesitation devastated wooded plains and valleys, polluted waters, disfigured the earth’s habitat, made the air unbreathable . . .

“We must therefore encourage and support the ‘ecological conversion’ which in recent decades has made humanity more sensitive to the catastrophe to which it has been heading.”

Feast day: 22 October

 

 St. John of the Cross, 1542-1591

So meaningful were the life, actions, and writings of St. John of the Cross that Pope Francis dedicated a section of Laudato Si’ to the Spaniard:

“Standing awestruck before a mountain, he or she cannot separate this experience from God, and perceives that the interior awe being lived has to be entrusted to the Lord: ‘Mountains have heights and they are plentiful, vast, beautiful, graceful, bright and fragrant. These mountains are what my Beloved is to me. Lonely valleys are quiet, pleasant, cool, shady and flowing with fresh water; in the variety of their groves and in the sweet song of the birds, they afford abundant recreation and delight to the senses, and in their solitude and silence, they refresh us and give rest. These valleys are what my Beloved is to me.’”

(Collected from GCCM)

মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

যিশু খ্রিস্টের মতোই পালাতে বাধ্য : কিছু উপলব্ধি ও কিছু সুপারিশ


ক. পোপ ফ্রান্সিস এর বাণী'র আলোকে কিছু উপলব্ধি

পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস গৃহহারা অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষদের যারা সুরক্ষা, উন্নয়ন ও সংগঠিত করছেন তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন এবং আগামী রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দে ‘১০৬তম বিশ্ব অভিবাসী ও শরণার্থী দিবস’ উদযাপনের জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান রেখেছেন। এ দিবসের মূল প্রতিবাদ্য বিষয় হিসেবে নিয়েছেন- অভিবাসী ভাইবোনেরা "যিশু খ্রিস্টের মতোই পালাতে বাধ্য" (“Like Jesus Christ, Forced to flee”)। শিশু যিশু পিতামাতার সাথে মিশরে যাওয়ার সময় শরণার্থী হিসেবে করুন পরিণতির অভিজ্ঞতা করেছেন। যা ভয়, অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় (মথি ২:১৩-২৩) । বর্তমান সময়ে লক্ষ লক্ষ অভিবাসী পরিবার একই দুঃখময় বাস্তবতা অতিক্রম করছে। যা আমরা অবিরত টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছি। তারা ক্ষুধা, যুদ্ধ ও ভয়াবহ বিপদ থেকে পালিয়ে পরিবারের সুরক্ষা এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনের সন্ধান করছে। রাজা হেরোদের নিকট থেকে যিশুই জীবন বাঁচাতে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। ক্ষুধার্ত, তৃর্ঞ্চাত, বস্ত্রহীন, অসুস্থ, অপরিচিত এবং বন্দীদের মধ্যে খ্রিস্টের প্রতিচ্ছবি রয়েছে এবং তারা আমাদের কাছে সাহায্য চায় (মথি ২৫:৩১-৪৬)। সেই মুখগুলিকে চিনতে পারলে তখনই মাত্র তাদের দেখতে, ভালবাসতে এবং সেবা করতে সক্ষম হতে পারি। পোপ মহোদয় বলেছেন- যদিও আমাদের দৃষ্টিতে তাদের চিনতে পারা খুব কঠিন হয়ে পড়ে- তাদের বস্ত্র ছিন্ন, পা নোংরা, চেহারা মলিন, দেহ অবসন্ন, জিহ্বা আমাদের ভাষায় কথা বলতে পারেনা। 

পোপ ফ্রান্সিস ২০১৮ সালের অভিবাসী এবং শরনার্থীদের পালকীয় সেবা কাজে চারটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন- তাদের  স্বাগত জানানো, সুরক্ষা দেয়া, সংবর্ধিত করা ও সংযুক্ত করা । ২০২০ খ্রিস্টাব্দে তিনি আরও ছয়টি বিষয় যুক্ত করেছেন যা বাস্তব কাজের সাথে সমন্বিত এবং কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত- যেমন: (১) বুঝার জন্য তাদের জানতে  হবে; (২) সেবার জন্য তাদের কাছে যেতে হবে; (৩) পুনর্মিলনের জন্য তাদের কথা শোনতে হবে; (৪) বেড়ে ওঠার জন্য তাদের সাথে সহভাগিতা করতে হবে; (৫) সংবর্ধিত করার জন্য তাদের সংযুক্ত করতে হবে এবং (৬) গঠনদানে জন্য তাদের সহযোগিতা করতে হবে । এ বিষয়সমূহ অনুধ্যান করে আভিবাসী, উদ্বাস্তু, বাস্তুচ্যুত বা শরণার্থী ভাইবোনদের চিনতে, জানতে ও দয়ার কাজ করতে সক্ষম হতে পারি।

১.  বুঝার জন্য তাদের জানতে  হবে 

জ্ঞান হলো আগামী দিনে অন্যকে জানার প্রয়োজনীয় একটি ধাপ। এম্মাউস পথে যিশু নিজেই শিষ্যদের কাছে এসেছেন, একত্রে কথোপকথন করেছেন, তাদের সাথে সাথে পথ চলেছেন কিন্তু তাদের চোখ তাকে চিনতে পারেনি (লুক ২৪:১৫-১৬)। অভিবাসী এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সম্পর্কে কথা বলার সময় প্রায়ই তাদের সংখ্যা জেনে থেমে যাই কিন্তু এটা শুধু সংখ্যার বিষয় নয় বরং এটি প্রকৃতভাবেই মানুষের বিষয়। আমরা যদি বাস্তুচ্যুত গৃহহীন মানুষের মুখোমুখি হই তাহলে আমরা তাদের গল্পগুলি জানতে পারবো এবং তাদের আরোও বেশী বুঝতে সক্ষম হবো। 

২. সেবার জন্য তাদের কাছে যেতে হবে

পবিত্র বাইবেলে পাঠ করে থাকি- কিন্তু একজন সামারীয় পথিক যেতে যেতে একজন পথিককে দেখতে পেল, তাকে দেখে তার করুণা হলো এবং সে তার ক্ষতগুলি বেঁধে দিল ও ক্ষত স্থানে তেল ও দ্রাক্ষারস মাখিয়ে দিল। সে তাকে তার বাহনে চড়িয়ে একটি সেবাকেন্দ্রে নিয়ে গেল এবং তাকে সেবাযত্ন করতে লাগল (লুক ১০:২৫-৩৭)। ভয় ও কুসংস্কার অভিবাসীদের থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে রাখে এবং প্রায় সময়ই প্রতিবেশী হয়ে তাদের সেবা করতে ও ভালবাসতে বাঁধা প্রদান করে। অন্যের কাছাকাছি আসার অর্থ হলো অন্যের জন্য ঝুঁকি নেওয়া যা সম্প্রতি মাসগুলিতে ডাক্তার নার্সরা আমাদের শিখিয়েছেন। তাদের কাছে যাওয়া এবং সেবা করার প্রস্তুতি নিছক কর্তব্যবোধের বাইরে। যীশু আমাদের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ দিয়েছেন যখন তিনি তাঁর শিষ্যদের হাত ধুয়ে দিলেন- তিনি তার জামাটা খুলে ফেললেন, হাটু গেড়ে বসলেন এবং নিজ হাতে তাদের ময়লা পা পরিস্কার করলেন (যোহন ১৩:১-১৭)। 

৩. পুনর্মিলনের জন্য তাদের কথা শোনতে হবে

মানুষের কান দিয়ে যিশু খ্রিস্ট মানব আর্তনাদের কথা শুনেছেন- ঈশ্বর পৃথিবীকে এতই ভালবাসলেন যে তিনি তার একমাত্র পুত্রকে দান করলেন যেন এই পৃথিবী তার মধ্য দিয়ে রক্ষা পায় (যোহন ৩:১৬-১৭)। একটি ভালবাসা যা মিলন ও রক্ষা করে তা শোনা’র মধ্য দিয়েই শুরু হয়। বর্তমান পৃথিবীতে অভিবাসীদের সম্পর্কে বহুবিধ আলোচনা হচ্ছে কিন্তু তাদের কথা শোনার আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও আমরা নম্রভাবে এবং মনোযোগ সহকারে তাদের গল্প শুনে সত্যিকার অর্থে মিলিত হতে পারি। পুনর্মিলনের জন্য পৃথিবীতে যারা দূর্বল, যারা বাস্তুচ্যুত এবং দুর্দশাগ্রস্থ সেই সকল মানুষের কথা আমাদের শুনতে হবে। গল্প-শোনা অভ্যাস আমাদেরকে প্রতিবেশীদের, বঞ্চিতদের এবং ঈশ্বরের সাথে মিলনের সুযোগ করে দেয়। 

 ৪. বেড়ে ওঠার জন্য তাদের সহভাগিতা করতে হবে

 আদি খ্রিস্টমণ্ডলীতে সহভাগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বা দৃষ্টান্ত। তখন বিশ্বাসী সমাজে সবাই ছিলেন একমন একপ্রান, তারা কেউই কোন জিনিসকে তাদের নিজেদের বলে দাবী করতেন না কিন্তু সবকিছুই তাদের নিজেদের সম্পত্তি ছিল (শিষ্যচরিত ৪:৩২)। ঈশ্বর এই পৃথিবীর সম্পদকে কখনই কিছু মানুষের সুবিধার জন্য দিয়ে দেননি। এই সবই হলো ঈশ্বরের সম্পদ। একে অপরের বেড়ে উঠার জন্য সহভাগিতা করা আমাদের শিখতে হবে এবং কেউই যেন পিছনে পড়ে না থাকে। মহামারী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে আমরা সবাই একই নৌকার মধ্যে আছি। আমাদের অনুধাবন করতে হবে যে, আমরা সবাই একই উদ্বিগ্ন, একই ভয়ের মধ্যে আছি, আমরা কেউই এককভাবে বাঁচতে পারবো না। সত্যিকারভাবে বেড়ে ওঠার জন্য আমাদের একসঙ্গে বেড়ে উঠতে হবে, আমাদের যা আছে তা সহভাগিতা করতে হবে, সেই বালকের মত যে তার পাচঁটি রুটি দুটি মাছ যিশুকে দিয়েছিল এবং প্রমানিত হয়েছিল যে পাচঁ হাজার লোকের জন্য তা যথেষ্ট ছিল (যোহন ৬:১-১৫)। 

৫. সংবর্ধিত করার জন্য তাদের সংযুক্ত করতে হবে

অভিবাসীদের অগ্রগতির প্রক্রিয়ায় তাদের জড়িত করতে হবে। যিশু যেভাবে সামারীয় নারীর প্রতি করেছিলেন (যোহন ৪:১-৩০)- যিশু তার কছে গেলেন, তার কথা শুনলেন, তার হৃদয়ের কথা বললেন, সত্যের পথে পরিচালিত হতে এবং সুসংবাদ প্রচারের জন্য তাকে অগ্রদূত করলেন- "এসো তোমরা, দেখে যাও একজনকে : জীবনে আমি যা করেছি, তিনি তা সবই আমাকে ব’লে দিয়েছেন! তাহলে তিনি কি সেই খ্রিস্ট নন?" যদি আমরা তাদের সত্যিই সংবর্ধিত করতে চাই তাহলে তাদের সংযুক্ত করা উচিত, অবশ্যই তাদের সাথে আমাদের যুক্ত হতে হবে এবং তাদের মুক্তির জন্য তাদেরকেই অগ্রগামী করে তুলতে হবে। এই মহামারি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, একে অপরের পাশাপাশি থাকাটা কতটা প্রয়োজন এবং সেটিই হলো প্রত্যেকের অবদান। উৎসাহ প্রদান করতে হবে যেখানে প্রত্যেকেই স্বীকৃত হবে এবং তারা বুঝবে যে আতিথেয়তা, ভ্রাতৃত্ব এবং সৌহার্দ সম্প্রীতির নতুন আঙ্গিকে তাদের আহ্বান করা হয়েছে।

৬. গঠনদানে জন্য তাদের সহযোগিতা করতে হবে

প্রেরিতশিষ্য পৌল করিন্থীয়দের কাছে বলেছেন- আমি যিশু খ্রিস্টের নামে তোমাদের কাছে একান্ত  আবেদন জানাই, ভাইয়েরা তোমরা ঐক্যমত থাক, তোমাদের মধ্যে যেন কোন মতবিরোধ না থাকে বরং তোমরা একই মনোভাব পোষণ করো এবং একই বিচার বিবেচনার বন্ধনে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাক (১ করিন্থীয় ১:১০)। ঈশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য খ্রিস্টভক্তদের একই দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে, এ কারণে আমাদের হিংসা-বিদ্বেষ, বিভাজন, প্রলোভন ভুলে অন্যকে সহযোগিতার শিক্ষা গ্রহন করা প্রয়োজন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি নবায়ন করার প্রয়োজন রয়েছে- "এটি আত্মকেন্দ্রিক হওয়ার সময় নয়, আমরা যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হচ্ছি তা ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে ওঠে একে অপরের সাথে সহভাগিতা করতে হবে" (Urbi et Orbi Message, 12 April 2020)। আমাদের একই আবাস ভূমির জন্য ঈশ্বরের প্রকৃত পরিকল্পনাকে আরও বেশী করে কার্যকর করতে হবে কাউকে বঞ্চিত করে নয় বরং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বিশ্ব সংহতি এবং স্থানীয় প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। 

খ. অভিবাসী ও শরণার্থীদের সেবাকাজের কিছু সুপারিশ

বর্তমানে অভিবাসন অবৈধ ও অপরিকল্পিত হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন। মানুষের মৌলিক চাহিদা সেখানে বিপন্ন এবং শিশু ও নারীরা চরমভাবে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। মানবিকতার বিচারে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করে তাদের যত্ন নেয়া পৃথিবীর সকল মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কারণ এ অভিবাসীদের দুর্যোগ এবং দুর্ভোগের পিছনে রয়েছে মানুষের স্বার্থপরতা, বিবেকহীন আচার-আচরণ ও কর্মকাণ্ড। আমাদের প্রতিটি ধর্মপল্লীর অধীনে অনেক অভিবাসী ভাইবোন আছে যারা প্রতিদিন আমাদের জীবন বাঁচাতে ও জীবন সাজাতে নানাভাবে ভূমিকা রাখছে- যেমন: গৃহ পরিচারিকা, ড্রাইভার, দারোয়ান, দিন-মজুর, বাড়ি-ঘর ও কৃষিজমি রক্ষণাবেক্ষণকারী, সেলুন বা পার্লারে কর্মরত, রিকশাচালক আরও অনেকভাবে সহায়তা করছে। আমাদের জীবনে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাই ও তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সাধ্যমতো চেষ্টা করি বিপদ-আপদে সাধ্যমতো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে অঙ্গীকার করি। আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পালকীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের দুর্গতি কিছুটা হ্রাস করতে পারি- 

১. অন্তরে অনুভব করা জন্য বাণী ধ্যান করা

পোপ ফ্রান্সিস-এর বাণী নিজেরা পাঠ ও অনুধ্যান করে তাঁর মতো হৃদয় নিয়ে অভিবাসী ভাইবোনদের প্রতি আরও শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাপূর্ণ মানবীয় আচরণ এবং ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করতে পারি। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক অর্থাৎ আমাদের দেশ থেকে যারা অন্যদেশে কাজ, পড়াশুনা বা জীবনযাপনের জন্য অবস্থার করছে তাদের সাথে আধ্যাত্নিকভাবে একাত্ম হই।

২. দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য জ্ঞান অর্জন করা

পোপ মহোদয়ের বাণীর আলোকে শিক্ষা ও সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অভিবাসী ও বাস্তুচ্যুত জনগণের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজনে পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারি। অভিবাসী ভাই-বোনদের অবস্থা জানা, বোঝা ও অনুধাবনের জন্য আলোচনা, সংলাপ ও ছোটো বৈঠক আয়োজন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সাপ্তাহিক প্রতিবেশি’র বিশেষ সংখ্যা : বিশ্ব অভিবাসী ও শরণার্থী দিবস (২০-২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ) সংখ্যাটি থেকে সাহায্য নিতে পারি। 

৩. সেবাযত্নের জন্য প্রার্থনা ও বাস্তব কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে  

বরিবারের খ্রিস্টযাগে (২৭ সেপ্টেম্বর) পুরোহিতগণ অনুধ্যান ও উপদেশে পোপ মহোদয়ের বাণী এবং মথি রচিত মঙ্গলসমাচারের (২:১৩-২৩) আলোকে সহভাগিতা করতে পারেন। খ্রিস্টযাগের সময়, কনভেন্টের প্রার্থনায়, প্রতিষ্ঠানে অফিসের কার্যক্রম শুরুর আগে অভিবাসী ভাইবোনদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করতে পারি এবং পোপ ফ্রান্সিস এর বাণী পাঠ ও ধ্যান করতে পারি। যারা অভিবাসী হয়ে অন্যত্র যাচ্ছে তাদের বিশ্বাস, সাক্রামেন্ত,  বিবাহিত, আর্থিক ও সামাজিক জীবনের কিছু মৌলিক দিক নির্দেশনা খ্রিস্টযাগের উপদেশ, সেমিনার ও বিভিন্ন সভাতে আলোকপাত করা যেতে পারে। অভিবাসী প্রেরিত ও আগত উভয় স্থানেই পালকীয় যত্ন দরকার। 

৪. সেবাকাজ বিস্তারের জন্য নতুন এলাকা যেতে হবে

আমাদের দেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট শহরের আশেপাশে এবং কোনাবাড়ী, ঘোড়াশাল, পলাশ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, পাবনা, হবিগঞ্জ এলাকায় খ্রিস্টভক্তগণ কাজের তাগিদে বসবাস শুরু করছে। সেবাকাজের জন্য তাদের কাছে যেতে হবে।ন্যায় ও শান্তি কমিশন ইতিমধ্যে এসব এলাকায় কিছু কিছু কার্যক্রম আরম্ভ করেছে।নিকটতম ধর্মপল্লীসমূহ এসব এলাকায় পালকীয় কাজের জন্য সৃজনশীল পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে।

৫. অগ্রগতির জন্য কর্মকাণ্ডে তাদের সংযুক্ত করতে হবে 

স্থানীয় ও অভিবাসী ছেলেমেয়েদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি না করে একত্রে পড়াশোনা, খেলাধুলা ও একত্রে বেড়ে উঠার পরিবেশ তৈরি করতে পারি। স্থানীয় সমাজের উন্নয়নে অভিবাসী ভাইবোনদের অবদান অনুধাবন করা ও স্বীকৃতি দেয়া দরকার। তাদেরকে স্থানীয় সমাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিভিন্ন কাঠামোতে সাধ্যমতো অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে হবে যাতে তারা আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। ধর্মপল্লীর পালকীয় কাজে অভিবাসীদের সম্পৃক্ত করতে ও তাদের প্রয়োজনে সাড়াদান করতে পারি। ক্রেডিট ইউনিয়নে অভিবাসী ভাইবোনদের অংশগ্রহণ ও আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে পারি।

৬. তালিথা কুম নেটওয়ার্কিং (Talitha Kum Networking) 

মানবপাচারের বিরুদ্ধে ও অভিবাসীদের সেবা প্রদানের জন্য তালিথা কুম নেটওয়ার্কিং একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। পোপ ফ্রান্সিস সরাসরি তাদের সেবাকাজে অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। কাথলিক মণ্ডলীর বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের সিস্টারগণ মিলিতভাবে কাজ করে থাকে এবং বিভিন্ন সংগঠনসমূহকে সম্পৃক্ত করেন।যা ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বর্তমানে ৭০টি দেশে সেবা প্রদান করছে। সদস্যগণ মার্ক লিখিত মঙ্গলসমাচােরের (৫:৪১) অনুপ্রেরণা অন্তরে নিয়ে সেবাকাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশেও মানবপাচারের বিরুদ্ধে ও অভিবাসীদের মাঝে এ সংগঠনের সেবাকাজ বিস্তার করতে পারি। ইতিমধ্যে ন্যায় ও শান্তি কমিশনের সাথে তালিথা কুম নেটওয়ার্কিং এর যোগযোগ রয়েছে। পোপ ফ্রান্সিস এ বছর শুরুতে তাদের কাজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে আর্থিক অনুদান সংগ্রহের ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছেন।

 ৭. অভিবাসীদের করণীয় কিছু  দিকনির্দেশনা

অভিবাসী ভাইবোনদের পক্ষ থেকে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দরকার- যেমন: (ক) নতুনভাবে যে সমাজে বসবাস করছে শুরুতেই স্থানীয় সমাজনেতা অথবা পাল-পুুরোহিতের সাথে যোগাযোগ করা, এতে করে সাক্রামেন্তিয় বিষয়সমূহ নিয়ে যেন সুন্দর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়; (খ) খ্রিস্টিয় জীবনযাপনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত হওয়া, সচেতনতামূলক সেমিনারে অংশগ্রহণ করা; (গ) বাড়িতে রেখে আসা আপনজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা;  (ঘ) কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয়ে সচেতন হওয়া, অর্থ অপচয় থেকে বিরত থাকা, আপৎকালীন তহবিল গঠন করা এবং প্রতারকদের নিকট থেকে দূরে থাকা; (ঙ) ক্রেডিট ইউনিয়নে হিসাব খোলা ও শুরু থেকে নিজে সঞ্চয় ও কিস্তি জমা দেওয়া, নিজের আপনজন ব্যতিত অর্থ লেনদেন থেকে বিরত থাকা; (চ) শ্রমিক বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ ব্যবসায়ে জড়িতরা সরকারি বিধি-নিষেধ ও প্রতিষ্ঠানের সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী একটি পছন্দসই পেশায় স্থায়ী হওয়া; এবং (ছ) ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসী ভাইবোনদের সাথে সুন্দর সংলাপ ও সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলতে পারে।স্থায়ী বা অস্থায়ী বসতির ক্ষেত্রে নিজের বিবেক-বিবেচনা ব্যবহার করে এমনসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগ নিজের জীবনযাপন সুখময় করতে পারে। 

আমাদের বিশ্বাস, আশা  দয়ার কাজের মাধ্যমে একই পিতার সন্তান হিসেবে সকলে পরস্পর ভাই-বোন হিসেবে জীবনযাপন করতে পারব ও একত্রে মিলে সমাজে আরও সক্রিয় হতে উঠতে পারবো। এতে যিশু খ্রিস্টের মতোই যারা পালাতে বাধ্য হয়েছে তাদের দুর্গতি কিছুটা কমাতে পারবো।


তথ্যসুত্র: অর্পা কুজুর- বাংলা অনুবাদ (MESSAGE OF HIS HOLINESS POPE FRANCIS FOR THE 106TH WORLD DAY OF MIGRANTS AND REFUGEES 2020)|




সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

১০৬তম বিশ্ব অভিবাসী ও শরণার্থী দিবস : রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ

 


ঢাকা/চট্টগ্রাম মহাধর্মপ্রদেশ - বরিশাল/দিনাজপুর/খুলনা/ময়মনসিংহ/রাজশাহী/সিলেট ধর্মপ্রদেশ

বিষয়: "১০৬তম বিশ্ব অভিবাসী ও শরণার্থী দিবস" (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ) উদযাপন  

             প্রসঙ্গে।

শ্রদ্ধেয় ফাদার, ব্রাদার, সিস্টার ও খ্রিস্টিয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ,

ন্যায় ও শান্তি কমিশন-সিবিসিবি’র পক্ষ হতে শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন! পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস গৃহহারা অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষদের যারা সুরক্ষা, উন্নয়ন ও সংগঠিত করছেন তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন এবং আগামী রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, "১০৬তম বিশ্ব অভিবাসী ও শরণার্থী দিবস" উদযাপনের জন্য বিশ^বাসীর প্রতি আহ্বান রেখেছেন। 

পোপ মহোদয় এ বছর অভ্যন্তরীণ অভিবাসী ও বাস্তুচ্যুত জনগণের পালকীয় সেবাযতেœর উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং মূল প্রতিপাদ্য বিষয়  হিসেবে ঘোষণা করেছেন, "যিশু খ্রিস্টের মতোই পালাতে বাধ্য" (“Like Jesus Christ, Forced to flee”)। পোপ মহোদয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রার্থনা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পালকীয় কর্মসূচি গ্রহণ করে দিবসটি অর্থপূর্ণ করতে পারি। ফলে অভিবাসী ভাইবোনেরা বিশেষভাবে করোনামহামারীর সময়ে গরিব, দুঃস্থ, অবহেলিত, নানাধরনের ঝুঁকি ও বিপদাপন্ন অবস্থায় পতিতদের আশ্রয়, সুরক্ষা, উন্নয়ন ও স্থানীয় সমাজে (হোস্ট কমিউনিটি) একত্রে মর্যাদাসহ জীবনযাপন করতে পারবে। 

১. পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস-এর সংক্ষিপ্ত বাণী নিজেরা পাঠ ও অনুধ্যান করে তাঁর মতো হৃদয় নিয়ে অভিবাসী ভাইবোনেরা যারা আমাদের জন্য কাজ করে অথবা বসবাস করে তাদের এবং আমাদের আশেপাশে বসবাসরত অভিবাসী ভাইবোনদের প্রতি আরও শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাপূর্ণ মানবীয় আচরণ করতে পারি। আমাদের দেশ থেকে যারা বিভিন্ন দেশে কাজ, পড়াশুনা বা জীবনযাপনের জন্য অবস্থান করছে তাদেরও স্মরণ করতে পারি।

২. পোপ মহোদয়ের বাণীর আলোকে শিক্ষা ও সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অভিবাসী ও বাস্তুচ্যুত জনগণের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজনে পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারি। অভিবাসী ভাই-বোনদের অবস্থা জানা, বোঝা ও অনুধাবনের জন্য আলোচনা, সংলাপ ও ক্ষুদ্র দলে বৈঠক আয়োজন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সাপ্তাহিক প্রতিবেশি’র বিশেষ সংখ্যা : বিশ্ব অভিবাসী ও শরণার্থী দিবস (২০-২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ) সংখ্যাটি থেকে সাহায্য নিতে পারি।

৩. বরিবারের খ্রিস্টযাগে (২৭ সেপ্টেম্বর) পুরোহিতগণ অনুধ্যান ও উপদেশে পোপ মহোদয়ের বাণী এবং মথি রচিত মঙ্গলসমাচার ২:১৩-২৩ পদ সহভাগিতা করতে পারেন। খ্রিস্টযাগের সময়, কনভেন্টের প্রার্থনায়, প্রতিষ্ঠানে অফিসের কার্যক্রম শুরুর আগে অভিবাসী ভাইবোনদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করতে পারি। ধর্মপল্লীর পালকীয় কাজে অভিবাসী ভাইবোনদের সম্পৃক্ত করতে ও তাদের প্রয়োজনে সাড়াদান করতে পারি। 

৪. স্থানীয় ও অভিবাসী ছেলেমেয়েদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি না করে একত্রে পড়াশোনা, খেলাধুলা ও একত্রে বেড়ে উঠার পরিবেশ তৈরি করতে পারি। স্থানীয় সমাজের উন্নয়নে অভিবাসী ভাইবোনদের অবদান অনুধাবন করা, স্বীকৃতি দেয়া এবং তাদেরকে স্থানীয় সমাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিভিন্ন কাঠামোতে সাধ্যমতো অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করা যাতে তারা আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। ক্রেডিট ইউনিয়নে অভিবাসী ভাইবোনদের অংশগ্রহণ ও আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে পারি।

আমাদের প্রতিটি ধর্মপল্লীতেই অনেক অভিবাসী ভাইবোন আছে যারা প্রতিদিন আমাদের জীবন বাঁচাতে ও জীবন সাজাতে নানাভাবে ভূমিকা রাখছে। যেমন- গৃহ পরিচারিকা, ড্রাইভার, দারোয়ান, দিন-মজুর, বাড়ি-ঘর ও কৃষিজমি রক্ষণাবেক্ষণকারী, সেলুন বা পার্লারে কর্মরত, রিকশাচালক আরও অনেকভাবে সহায়তা করছে। আমাদের জীবনে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাই ও তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সাধ্যমতো চেষ্টা করি এবং বিপদ-আপদে সাধ্যমতো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে অঙ্গীকার করি।

আমাদের বিশ্বাস ও আশা, দয়ার কাজের মাধ্যমে একই পিতার সন্তান হিসেবে সকলে পরস্পর ভাই-বোন হিসেবে জীবনযাপন করতে পারব ও একত্রে মিলে সমাজে আরও সক্রিয় হতে উঠতে পারবো।

পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও, ডিডি, সভাপতি, সিবিসিবি ন্যায় ও শান্তি কমিশন, এর পক্ষে পত্রটি প্রেরণ করছি।

খ্রিস্টেতে,

ফা. লিটন হিউবার্ট গমেজ, সিএসসি জ্যোতি গমেজ

সচিব, ন্যায় ও শান্তি কমিশন, সিবিসিবি প্রধান সমন্বয়কারী, অভিবাসী বিষয়ক দপ্তর




মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ফাদার টিম এর মৃত্যুতে ডরপ এর গভীর শোক

 স্টাফ রিপোর্টার (ইউনাইটেড নিউজ ২৪.কম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ):  সুশাসন ও ন্যায্যতার জন্য, নারীর ক্ষমতায়ন ও ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষ তথা সমাজ পরিবর্তনের পথিকৃৎ, আন্তর্জাতিক-জাতীয় থেকে উপদ্রুত এলাকার মাটি মানুষের সেতুবন্ধনের অন্যতম টিম লিডার ফাদার রিচার্ড উইলিয়াম টিম এর মৃত্যুতে বেসরকারি সংস্থা ডরপ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক শোক বার্তায় ডরপ পরিবার ফাদার টিমের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন।

শোক বার্তায় বলা হয়, ১৯৭০ এর ১২ নভেম্বর উপকূলীয় অঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছাসের পরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে মানুষের ‘সঙ্গে’ ও ‘জন্য’ থেকে নটর ডেম কলেজের প্রিন্সিপালের পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজ করেন ফাদার রিচার্ড উইলিয়াম টিম। বৃহত্তর বরিশাল জেলার ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা ইউনিয়ন ও নোয়াখালীর রামগতিকে কেন্দ্র করে দুর্গতদের  মধ্যে আর্ত মানবতা, উন্নয়ন ও মানবাধিকার কাজে নিয়োজিত হন। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত মনপুরার সবাই তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ও জানে। বাংলাদেশের প্রথম এনজিও ‘হেল্প’; মনপুরায় গুচ্ছগ্রাম ধারণা বাস্তবায়ন ও পরবর্তীতে রামগতির বিশ্বগ্রামের অংশী হয়ে প্রতিষ্ঠা করেন।

ডরপ’র শোক বার্তায় আরও বলা হয়, বাংলায় কথাবার্তা ও কৃষ্টি-কালচারসহ কাঁধে চটের ব্যাগ নিয়ে ফিফটি মটরসাইকেল চালিয়ে কাজে যাতায়াত করতেন তিনি। সরল নির্লোভ, আজীবন কুমার ৬৬ বছর বাংলাদেশে অবস্থান করেন। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি বাহিনীর বাঙ্গালীর উপর নৃশংস গণহত্যার বিরোধিতা করে দেশে-বিদেশে, যুক্তরাষ্ট্রে জনমত গড়ে তোলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধত্তর এনজিও নেটওয়ার্ক ‘এডাব’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

শোক বার্তায় বলা হয়, ফাদার টিমের সাথে হাতিয়া-রামগতি-দৌলতখা নদীপথে স্টিমারে পরিচয় হওয়ার অনুপ্রেরণার সাথী, সিএ পড়া বাদ দিয়ে ‘ধ্বংস থেকে সৃস্টি’র উৎপাদন যোদ্ধা, উন্নয়ন সংগঠক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেসন অব দি রুরাল পুয়র- ডরপ এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান। ফাদার টিম বাংলাদেশের বেসরকারি মানবাধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান ১৯৮৭ সালে ‌‘বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ-বামাসপ’ প্রতিষ্ঠা করেন। বামাসপ বাংলাদেশে প্রথম নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গবেষণা, অনুষন্ধ্যান কাজের পত্তনি সংগঠন হিসাবে খ্যাত। উৎপাদন, উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে মা অধিকার সুরক্ষায় একই বছর ডরপ প্রতিষ্ঠা হয়। একই সালে বামাসপ এর সদস্য সংগঠন হয়ে ডরপ চরফ্যাসনে জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে। বাংলাদেশের জন্য ফাদার টিমের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ছবিটি ২০০৭ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে তোলা।


উল্লেখ্য, ফাদার রিচার্ড উইলিয়াম বার্ধক্যজনিত ৯৭ বছর বয়সে গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২০) যুক্তরাষ্ট্রের জন্ম শহর ইন্ডিয়ানায় মৃত্যুবরণ করেন। (Collected)  Development Organisation of the Rural Poor-DORP, a national Non-Government Organization (NGO) established in 1987.




Bangladesh will miss you, Father Timm: Dr Yunus

 

Bangladesh will miss you, Father Timm: Dr Yunus 

Nobel laureate Dr Muhammad Yunus has expressed deep shock at the death of former Principal of Notre Dame College, Father Richard William Timm, saying that Bangladesh will forever miss him.

 "I am very sorry to see Father Timm go," said the Nobel laureate in a condolence message on Monday.

Prof Yunus said no disaster in Bangladesh could escape his quickest and the most daring responses and he was a towering symbol of humanitarian work.

Father Timm spent all his life in Bangladesh, always available for anything which would serve the poor, said Yunus.

"I met him in Notre Dame University (in Indiana, USA) in April, 2018. I was at the university to give their annual public lecture. I was told by one of the Professors that Father Timm was on the campus. He said that he (Father Timm) apologised that he could not attend the lecture. I immediately wanted to meet him, which I did as soon as I was done with the official programme," Dr Yunus recalled.

He said he was disappointed to see Father Timm in a small hostel accompanied by five elderly people.

"The man who was closest to the people is now far away from the people he loved," Dr Yunus said.

Father Timm wanted to know everything about Bangladesh. "He was on a wheelchair. The nurse repeatedly told me not to make him talk. But he would not stop. Finally the nurse decided to take him back to his room."

Dr Yunus said, "I could see how much he missed Bangladesh."

Father Timm, one of the founders of Notre Dame College in Dhaka, repeatedly said, "I wanted to die and be buried in Bangladesh. But no one is listening to me. I am so helpless."

"Father Timm, you'll forever remain in the hearts of Bangladeshis… Bangladesh will forever miss you. You have left your fingerprints in every disaster area of Bangladesh. May God grant your soul eternal peace," he added.

Father Timm died in the United States at the age of 97.  Father Timm, who played a significant role during the Liberation War, breathed his last at 1:30pm local time in Indiana on Friday. (Collected)

Obituary 

Rev. Richard W. Timm, C.S.C.  March 2, 1923 ~ September 11, 2020 (age 97)


NOTRE DAME, Ind. – Rev. Richard W. Timm, C.S.C., 97, died at Holy Cross House, Notre Dame, Ind., on Friday, September 11, 2020.

He was born March 2, 1923, in Michigan City, Ind., to Joseph and Josephine (Otten) Timm. After grade school and high school at St. Mary’s in Michigan City, Ind., he entered Holy Cross Seminary and the University of Notre Dame in 1940. He made First Vows on August 16, 1942, taking the fourth vow of foreign missions. After novitiate, he went to Holy Cross College in Washington, D.C. for theology, then the Foreign Mission Seminary. He was ordained to the priesthood on June 8, 1949.

After ordination, Fr. Timm traveled to Dhaka, Bangladesh and joined the newly established Notre Dame College. Then, as a visiting professor in the department of nematology at the University of California, Davis, he taught for two years and helped out on weekends in parishes. During this time, he spent more than two months in Antarctica and discovered several new species of nematodes. Among them is the Marine Nematode “Timmia parva”, named after Fr. Timm himself!

In 1970, Fr. Timm had just returned as principal of Notre Dame College, Bangladesh when a cyclone and tidal surge caused widespread damage and casualties. He performed relief work on Manpura Island, the worst affected area, then was invited to direct a rehabilitation program on the island.

Fr. Timm was very active in direct service to the people of Bangladesh through his involvement in Caritas, the Bishops’ organization for welfare and development. He served a 24-year term as executive secretary of the Commission for Justice and Peace; and, in 1987, received the Ramon Magsaysay Award for International Understanding; a very prestigious award referred to as the “Nobel Prize of Asia". From 1984 to 2009, he served as chaplain for the Missionaries of Charity and the Holy Cross Sisters. He also served for over 25 years as chaplain to the Baby Home and House of Compassion run by Mother Theresa’s Sisters. Fr. Timm moved to Holy Cross House in 2017.

Fr. Timm served in Bangladesh for some 65 years. As his confrères in Bangladesh have said, Father Timm “was a legend of Bangladesh, an internationally renowned zoologist, discoverer of at least 250 nematodes, an educationist, a human development worker, a friend of Bangladesh, author of many books and publications, Magsaysay winner, and so on. Most importantly, he was a Catholic priest and member of the Congregation of Holy Cross.”

Preceding him in death are Fr. Timm’s parents, Joseph and Josephine Timm, his brother Robert, and his sisters Mary Jo Schiel and Genevieve Gantner. (Collected)

Father Richard William Timm: Timeline of Achievements
1923 - March 2, Born at Michigan City, Indiana, United States
1940 - Graduation from St Mary's HS. Michigan City
1945 - BA (Philosophy) from University of Notre Dame magna Cum Laude
1949 - Ordained at Sacred Heart Church, Notre Dame Indiana
1949 - June 8. Holy Cross assigns Timm to establish a department of science at St Gregory's School in Dhaka’s Laxmibazar
1951 - MS in Biology at the Catholic University of America
1952 - PHD from CU, specializing in Parasitology. Arrives in Dhaka in late October
1952-68 - Professor of biology, principal and founder and head of the science dept, Notre Dame College, Dhaka
1953-54 - Fulbright Lecturer in Parasitology at Govt Medical College, Dhaka, with extension at Govt Experimental Farm, Tejgaon
1954-70 - Researches on jute and rice nematode parasites at the Agricultural Research Institute, Tejgaon, under a grant from the Ministry of Food and Agriculture, Pakistan
1958-63 - Project on Plant-Parasitic nematodes (roundworms) under Food and Agriculture Council, Pakistan
1958-64 - Southeast Asia Treaty Organization (SEATO) Research Fellow in Thailand and Philippines; SEATO publishes his book on the Plant-Parasitic nematodes of Thailand and the Philippines
1963 - Awarded a SEATO Postdoctoral Research Fellowship for extensive study in Thailand and the Philippines on parasitic nematodes affecting commercial plants
1964 - Founded handicraft organization ‘Jagoroni’ for physically challenged women.
1965 - SEATO publishes his book “The Plant-Parasitic Nematodes of Thailand and The Philippines”
1968 - Father Timm leaves East Pakistan to spend two years in the US before returning shortly before the Liberation War in Bangladesh
1968-70 - Visiting Professor of Nematology at University of California, including two and half months research in Antarctica
1970-73 - Focusses on relief and rehabilitation; both for the cyclone and the destruction caused by the Liberation War
2020/09/unnamed-1599980876619.gif
1970-73 - Founded the science departments at Notre Dame College and pioneered club activities
1970-71 - Learns to speak fluent Bangla
1971-72 - Director of Cyclone Rehabilitation Project on Monpura Island for six months
1972-74 - Planning Officer at Caritas, Bangladesh
1973 - Executive Director of CORR The Jute Works
1974-76 - National Director of Caritas
1974 - Leads the creation of the Association of Voluntary Agencies in Bangladesh (AVAB) and was elected first chairman of its executive committee. Later AVAB became ADAB (Association of Development Agencies in Bangladesh)
1974-94 - Executive Secretary of Commission for Justice and Peace
1978 - Timm serves ADAB as director for nine months.
1987-93 - Founder of the Coordinating Council for Human Rights in Bangladesh and president for three terms
1987 - Receives Magsaysay Award for International Understanding from Manila for 35 years of dedication to the development of Bangladesh. In the same year, he receives ‘Abu Sayeed Chowdhury Award’ for Human Rights in Social Service
1990-93 - Founder and convenor of South Asian Forum for Human Rights.
2000-2011 - Works in various sectors in Bangladesh, especially on indigenous communities, physically challenged women, poor, and has been working on development and human rights
2008 - Timm becomes Caritas Bangladesh Advisor
2009- Honoured by Vatican's Pontifical Council for Justice and Peace as a teacher, author, eminent scientist, and advocate for human rights
2012 – Awarded the “Friends of Liberation War Honour”
Late 2015 or 2016 - He left Bangladesh
2020- September 11, (aged 97) dies at South Bend, Indiana, United States
The Funeral Mass (livestream) :  3:30 p.m. on Friday, September 18, 2020, at the Basilica of the Sacred Heart, Notre Dame, Ind.  Burial in the community cemetery at Notre Dame. 
© Dhaka Tribune

Collected from Khushi Kabir
 is with 
Hammad Choudhury
.
15.09.2020

It took me some time to write this. Even longer to post this. As I post this, I just got news that our dearest friend and mentor, Jeffrey Pereira is not well. I join others in wishing him a recovery back to his home soonest.
Fr. R. W. Timm’s news of his leaving his body left me numb. Though he was really unwell, which is why he had to go back to the US, we knew it was a matter of time, it still leaves an empty ache.
I have known of Fr. Timm from the sixties, first by reputation, ( he was featured in Time Magazine for his ground breaking work on micro organisms in Antartica. He left an amazing career in science to teach in Dhaka. He loved Bangladesh). Then when my younger brother became a student of Notre Dame College, we met him as his teacher.
It was in 1970 November after the massive cyclon when he took over Coordination of the field operations of HELP at Manpura Island, that I got the chance to know him personally and work with him. My father on his retirement from Government service became the Dhaka Coordinator for HELP. Fr. Timm visited our house often and I would sometimes volunteer for them. During 1971, he would ask my father to shelter young Mukti Jodhhas who needed a
place to stay in Dhaka. We were taught never to ask questions.
It was in 1972, immediately after Bangladesh’s liberation, when I joined BRAC and Fr. Timm was with CORR, which later became Caritas, that we got even closer. I also fondy remember our frequent meetings when I used to visit Fr. Homerich at Jalchatra in 1975, another wonderful person we lost recently. We used to have Long discussions & debates. That's when I got very close to him.
When I left BRAC in 1980 and joined Nijera Kori, he was of great support to us. One of our strongest mentors. He and I did several joint evaluations of Caritas programmes, travelled the length and breath of the country together. Jeffrey Pereira was the Executive Director of Caritas by then. Another fine human being, I respect greatly. 1981, both Abed Bhai and Fr. Timm were instrumental in getting me to be on the Board of ADAB. For many years, I was the only woman on the Board.
When Fr. Timm initiated a collective effort through the formation of CCHRB (Coordination Council for Human Rights in Bangladesh) again I was taken on their Board. Unfortunately, some unscrupulous elements brought in dirty politics and tried to demean Fr. Timm. The Government of that time was not supportive of him nor of Peoples’s rights. This was due to his strong stance on Human Rights and for his speaking out on the atrocities on the indigenous people of CHT.
Despite this lack of support for Fr. Timm, by the Government of that time, I noticed that whenever we as a group went to meet the Government, all the Secretaries at that time and some Ministers too, were his students and the respect and awe they had of him was genuine.
The current Government however awarded him as a friend of Bangladesh. An award he cherished. But his dream to get Bangladeshi citizenship could not materialise. Due to failing health he had to go back to the US to be looked after by his Congregation.
The last time I met him was a huge Birthday dinner organised with people he was close to, before he left for the US. His incredible memory was beginning to falter, but I was glad he remembered me well.
My niece's son studies at Notre Dame University in the US. My niece took permission to visit Fr. Timm some months back. He was really frail, but remembered my father and us.
He was a giant among other giants. He stood out in more ways than one. To me, he was one of the finest humans I have met to tread this planet. At one time, we as NGOs wanted to say Thank You to the three stalwarts and icons of Bangladesh’s NGO world, Sir F.H. Abed, Dr. Zafrullah Chowdhury and Father Timm. That too never happened.
One bit of his indomitable spirit I remember about him was his habit of falling down and hurting himself or breaking a leg, while riding his bike. But he would always recover and get on his bike again. Nothing could get him to give up riding his bike.
Fr. Timm's contribution will live on. It needs to be archived.
The only regret, he so wanted to be a Bangladesh National. But that was not to be.
We will always carry you in our hearts.
Our dear Fr. Timm with another legend, Fr. Homerich with the photographer, archivist, environmentalist, journalist, researcher Philip Gain. I hope Philip you will not mind my using your pictures for this post.
Fr R W Timm CSC -- the Guru of Caritas Bangladesh
Atul Sarker
He was our beloved Guru, the master of all masters, our mentor, our guide, our philosopher and our light house. We learnt from him how Social Justice is put into action, why primacy of the human person is paramount in development and above all why we need participation of all in social transformation.
It was a blessing for many of us in Caritas Bangladesh to work directly under him and learn basics of social analysis, contemporary development, human rights, institution building as a child learns her/his first lessons in life. His transformative leadership made Caritas Bangladesh what it claims and stands for today. There remains no sector in Caritas Bangladesh Progras where Fr Timm's contribution is absent.
Farmers Right and Fr Timm: To respond to the call of the Father of the Nation, Caritas participated "green revolution" in 1972 --1975. At that time irrigation was a big problem in cultivating the newly introduced IRRI varity. Farmers were almost chained by the powerful "water lords" who possessed diesel powered water pumps and would rent it out with exuberant rate that was equivalent to the cost of one third of their total produce. Visiting the then Rajbari agricultural farm (at that time it was under a farmers cooperative) in Dinajpur, Fr Timm realized that without ensuring the irrigation rights of the farmers and without breaking monopoly of the "water lords" landless and small holder farmers will remain victims of injustice that prevailed during the then farming system.
Coming back to Dhaka, he sat with his favorite desciple and yet another piller of Caritas Bangladesh, Jeffrey S Pereira. Both were convinced that introducing low cost, farmer friendly irrigation gadget is the answer and appropriate strategy to resist the "water lords" that can bring about justice and equity to landless and small holder farmers.
And that was the begging of a new era of traddle pump and that is how Fr Timm began to transform the landscape towards "food sovereignity" in Bangladesh.
To be continued..

Note: This is a very humble series and my first post in FB in respect of our mentor and Guru. I also thank those who inspired/pushed me to write.


Memorial contributions in support of the mission and ministries of the Congregation of

Holy Cross can be made to: United States Province of Priests and Brothers, Office of

Development, P.O. Box 765, Notre Dame, IN 46556-0765 or online at

donate.holycrossusa.org.

To send flowers to the family or plant a tree in memory of Rev. Richard W. Timm, C.S.C.