শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

লাউদাতো সি অ্যাকশন প্লাটফর্ম বাংলাদেশ - দিকনির্দেশনা

 ভাটিকানের ‘মানব উন্নয়ন’ নামক পুণ্য দপ্তর এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীবন-জীবিকা সুরক্ষার্থে ‌"লাউদাতো সি অ্যাকশন প্লাটফর্ম" এ সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ‘বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনী’র দিকনির্দেশনা

জগতের আর্তনাদ, দরিদ্রদের আর্তনাদ

'লাউদাতো সি'-"হে আমার প্রভু, তোমার প্রশংসা হোক"। ভাটিকানের 'মানব উন্নয়ন’'নামক পুণ্য দপ্তর এর সাথে একাত্ম হয়ে 'বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনী' আগামী সাত বছর "লাউদাতো সি অ্যাকশন প্লাটফর্ম" (২০২১ থেকে ২০২৭ খ্রিস্টাব্দ) শিরোনামে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীবন-জীবিকা সুরক্ষা বিষয়ক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়েছে। 'লাউদাতো সি' সর্বজনীন পত্রটির সাতটি লক্ষ্যসমূহ হল- (ক) জগতের আর্তনাদে সাড়াদান, (খ) দীনদরিদ্রদের আর্তনাদে সাড়াদান, (গ) পরিবেশগত অর্থনীতি বিস্তার, (ঘ) টেকসই সহজ-সরল জীবনধারা গ্রহণ, (ঙ) পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক শিক্ষা, (চ) পরিবেশ সংরক্ষণ উদ্দীপ্ত আধ্যাত্মিকতা অনুশীলন এবং (ছ) সমাজকে সম্পৃক্তকরণ ও অংশগ্রহণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ। সস্প্রতি পোপ ফান্সিস বলেছেন- 'লাউদাতো সি' শুধু সবুজ সর্বজনীন পত্র নয়, বরং এটি একটি সামাজিক সর্বজনীন পত্রও। 

১. ভাটিকানের 'মানব উন্নয়ন' নামক পুণ্য দপ্তর লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য গোটা  মণ্ডলীকে সাতটি কর্মক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে- (ক) পরিবার, (খ) ধর্মপল্লী, (গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, (ঘ) সংগঠন ও ক্লাব, (ঙ) সামাজিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, (চ) হাসপাতাল এবং (ছ) ধর্মসংঘসমূহ ইত্যাদি। এই নির্দেশনা দেশের প্রথম অধিবাসি জীবনধারা অনুধাবন করতে; জগতের আর্তনাদ ও দরিদ্রের আর্তনাদে ঐশতাত্ত্বিক ভিত্তি  অনুধাবন করতে; এবং 'লাউদাতো সি'র লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মৌলিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। সুতরাং বিগত দিন গুলোতে আমরা উন্নয়ন কর্মকাÐসহ আমাদের জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে সমন্বিত পরিবেশের যে ক্ষতিসাধন করেছি, তা পুনরুদ্ধারের জন্য আগামী সাত বছর "লাউদাতো সি অ্যাকশন প্লাটফর্ম" এ অবিরত সৃজনশীল উদ্যোগ, কর্মপরিকল্পনা এবং কর্মকৌশল গ্রহণ করবো। 

২. ভাটিকানের পুণ্য দপ্তর ২২-২৯ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ "লাউদাতো সি সপ্তাহ-২০২২" ঘোষণা করেছে এবং মূলসুর হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে "শোনা এবং একসাথে পথচলা" যা পোপ মহোদয়ের আহ্বানে "আমাদের অভিন্ন বসতবাটিকে রক্ষা করতে গোটা মানব পরিবারেেক একত্রিত করবে" (লাউদাতো সি, অনুচ্ছেদ-১৩)। এ উদ্যাপনের মূল উদ্দেশ হলো- সর্বজনীন পত্রটির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধি, আমাদের অভিন্ন বসতবাটির যতেœর মৌলিক নীতিসমূহ প্রচার এবং পরিবেশগত রূপান্তরের দিকে একসাথে যাত্রা করা। এ সপ্তাহটি উদ্যাপন বিশ্বকে দেখাবে কাথলিক মণ্ডলীর ২২০,০০০টি ধর্মপল্লীর ১.৩ বিলিয়ন খ্রিস্টভক্তজনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সাত বছরে কতটা পরিবর্তিত হয়েছে এবং সারা বিশ্বের জনগণকে অনুপ্রাণিত করছে। তাই বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনী (সিবিসিবি) আগামী সাত বছর "লাউদাতো সি অ্যাকশন প্লাটফর্ম" কার্যক্রমে সকল অংশীজনদেরকে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, ক্লাব, যুবসংঘ, পালকীয় সেবাকেন্দ্র, সেমিনারি, ছাত্রাবাস, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল, এবং সকল ধর্মসংঘ সবাইকে সাথে নিয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে আহ্বান জানাচ্ছে।

৩. সিবিসিবি কমিশনসমূহের সচিব ও সদস্যদের নিয়ে একটি কার্যনির্বাহী "লাউদাতো সি অ্যাকশন প্লাটফর্ম দল" গঠন করা হয়েছে। যারা আগামী সাত বছরের কার্যক্রম নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করবে এবং সকল অংশীজনদের দিক্নির্দেশনা দিয়ে যাবে। এই দলে শিক্ষক, যাজক, ব্রাদার, সিস্টার, যুবক-যুবতী ও আগ্রহী ব্যক্তিদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডাইয়োসিস পর্যায়েও অনুরূপ একটি সক্রিয় দল গঠন খুবই বাস্তব সম্মত হিসেবে ধারণা করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে (ক) আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধিমূলক (Spiritual Events), (খ) জীবনধারা পরিবর্তনমূলক (Action Events) ও (গ) গণমঙ্গল নীতিমালামূলক (Policy Events) ।

৪. সর্বপর্যায়ে ব্যাপকতর সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মে ১৫, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ রবিবার বাংলাদেশ কাথলিক মÐলীর সকল গীর্জায় একযুগে রবিবাসরীয় খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে “লাউদাতো সি অ্যাকশন প্লাটফর্ম’ উদ্যাপন উদ্ভোধন করা হবে। এ উপলক্ষে খ্রিস্টযাগ কাঠামো ও উপদেশ সহায়ক তৈরি করে প্রত্যেক ডাইয়োসিসে প্রেরণ করা হয়েছে। সেদিন সকল ডাইয়োসিসে সমস্ত ধর্মপল্লীতে বিশেষ প্রার্থনা, খ্রিস্টযাগ, উপদেশ ও অন্যান্য কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়। খ্রিস্টযাগ প্রাকৃতিক পরিবেশ, গ্রোটো বা লাউদাতো সি বাগানে আয়োজন করতে পারলে আরও অর্থপূর্ণ হবে। খ্রিস্টযাগের পরে কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন- কাপড়ের ব্যাগ বিতরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় অংশগ্রহণ, ময়লা-আবর্জনা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কিছু উদ্যোগ  ইত্যাদি।

৫. একই সাথে স্থানীয়ভাবে “লাউদাতো সি সপ্তাহ-২০২২” সক্রিয়ভাবে উদ্যাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা যায়। কাথলিক মণ্ডলী ছাড়াও অন্যান্য মণ্ডলীকে উৎসাহিত করা হবে যেন নিজেদের আয়োজনে “লাউদাতো সি অ্যাকশন প্লাটফর্ম” কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। আগামী মে ১৫ থেকে ২৯, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ মধ্যে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, আন্তঃমাণ্ডলিক , আন্তঃধর্মীয়, পরিবেশবিদ, পরিবেশ সংরক্ষণকর্মী ও সংগঠনের অংশীজনদের উপস্থিতিতে "Sharing the Good Practices"  আলোচনা সভা আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আলোচনার অনুধ্যান ও অনুধাবন লিপিবদ্ধ করে পরবর্তী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ সহায়ক হতে পারে। সিবিসিবি পর্যায়েও একটি আলোচনা সভা আয়োজন করতে যাচ্ছে।

৬. পৃথিবী নামক গ্রহটির যে-অবনতি ঘটছে তা ব্যক্তিগতভাবে ও দলগতভাবে নিজের জন্য বেদনায়ক কষ্ট বলে অনুভব করা এবং আমরা প্রত্যেকে এ বিষয়ে কী করতে পারি তা আবিষ্কার করতে একটি আন্তরিক “পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক মন পরিবর্তন’ এর সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। পোপ ফ্রান্সিস সৃষ্টির বিরুদ্ধে আমাদের পাপ স্বীকার করার আহ্বান ও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন- কারণ আমরা সবাই পরিবেশের কমবেশি ক্ষতিসাধন করেছি। ঈশ্বরের সৃষ্টির জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করেছি, আবাহাওয়া পরিবর্তন করেছি, বনজঙ্গল ধ্বংস করেছি, জলাভূমির পবিত্রতা বিনষ্ট করেছি, জমিজমা, বাতাস ও জীবন ধ্বংস করেছি- এসবই পাপ। কেননা প্রাকৃতিক জগতের বিরুদ্ধে পাপ করার অর্থ আমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে পাপ করা এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করা (লাউদাতো সি, অনুচ্ছেদ-৮)।

৭. ভাটিকানের ‘মানব উন্নয়ন’ নামক পুণ্য দপ্তর এবং পোপ ফ্রান্সিস কর্তৃক বাংলাদেশ কাথলিক মণ্ডলীর ‘একজন খ্রিস্টভক্ত, একটি বৃক্ষরোপণ’ উদ্যোগটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে, আরও প্রস্তাব করেছেন- বর্তমানে কার্বন নিঃসরণ কমানো উদ্যোগটি গ্রহণ বাস্তবসম্মত। বিভিন্ন ডাইয়োসিসে ধর্মপল্লী ও প্রতিষ্ঠানসমূহর পাশাপাশি বিসিএসএম, যুবসংগঠন, ক্লাব ও ক্রেডিট ইউনিয়নের অংশগ্রহণ খুবই উজ্জ¦ল ছিল। সুতরাং বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে বাস্তবে কী হয়েছে, কী অবস্থায় আছে, কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা ডাইয়োসিস পর্যায়ে ফিরে দেখা দরকার। একটি প্রতিবেদনও তৈরি করা প্রয়োজন।

৮. জাতীয় ও ডাইয়োসিস পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক সংলাপ ও ফোরাম আয়োজন করার তাগিদ অনুভব করা হয়েছে। যেখানে আন্তঃধর্মীয়, আন্তঃমাণ্ডলিক, বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান যেমন- ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), হিন্দু-বোদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, চার্চসমূহ এবং আরো পরিবেশ বিষয়ক সংগঠনের অংশগ্রহণ থাকতে পারে। পরিবেশবিদ ও পরিবেশ সংরক্ষণকর্মীদের সাথে নেটওয়ার্কিংএ যোগদান করা- যেমন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), আদিবাসী  ফোরাম বাংলাদেশ, কারিতাস, ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং আঞ্চলিক পর্যায়ের আরো সংগঠনের সাথে জড়িত থাকা। আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিং চলমান রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন- The Dicastery for Promoting Integral Human Development-Vatican, Migration and Refugee Section-Vatican, The Federation of Asian Bishops’ Conferences (FABC –OHD-CCD), The River Above Asia Oceania Ecclesial Network (Raoen), Laudato Si Movement, International Catholic Migration Commission (ICMC), Asia Pacific Justice and Peace Worker Network (APJP WN), Talitha Kum Vatican and Talitha kum Asia.

৯. কাথলিক শিক্ষা বোর্ডের সহযোগিতায় কাথলিক স্কুলসমূহকে কেন্দ্র করে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকমণ্ডলী ও ছাত্র-ছাত্রীদের এ বিষয়ে ব্যাপকতর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদান করা যায়। পোষ্টার তৈরী, ডকুমেন্টরি তৈরী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতা ও র‌্যালী আয়োজনে যুবক-যুবতী ও ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করা যায়।  কারিতাসের ট্রাস্ট- কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (সিডিআই) কর্তৃক ‘লাউদাতো সি’ পত্রটির আলোকে ‘পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক’ একটি সংক্ষিপ্ত মডিউল তৈরি যায়। তাদের আয়োজিত প্রশিক্ষণসমূহে বিষয়টি সংযুক্ত করতে পারে এবং আলাদা একটি প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

১০. বিশ্বজগতের মা মারীয়া তিনি দীনদরিদ্রদের কষ্টে ও ক্ষতবিক্ষত জগতের সকল প্রাণীর জন্য দুঃখশোকে কাতর। তাঁর নিকট সবিনয় প্রার্থনা করি যেন তিনি আমাদেরকে প্রজ্ঞার দৃষ্টি দিয়ে জগৎকে দেখার শক্তি দেন। পবিত্র পরিবার ও বিশ্বজনীন মÐলীর রক্ষাকর্তা সাধু যোসেফ আামদের শেখাতে পারেন- কিভাবে সেবাযতœ দিতে হয় এবং বসতবাটি রক্ষা করার জন্য কিভাবে উদারভাবে পরিশ্রম করতে হয়। যীশু বলেন- “আমি এখন সব-কিছুই নতুন ক’রে তুলছি” (প্রত্যাদেশ ২১:৫)। এই গ্রহটির জন্য আমাদের ভাবনা-চিন্তা যেন আমাদের প্রত্যাশার আনন্দ বিনষ্ট করতে না পারে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের মাঝে নিত্য উপস্থিত, কখনো পরিত্যাগ করেন না, একা ফেলে রেখে যান না। এই পৃথিবীতে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নতুন নতুন পথ ও পন্থা খুঁজে পাওয়ার জন্য তিনিই প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দান করছেন, আসুন ধ্যান-প্রার্থনায় তা শুনি ও এখনই কাজে সক্রিয় হই (লাউদাতো সি ২৪৩-২৪৫)। আমরা পরিবেশ সংরক্ষণের ব্যাপারে দায়বদ্ধতা স্বীকার করি; দায়বদ্ধতার ভিত্তি হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার ওপর সৃদৃঢ় বিশ্বাস ও কৃতজ্ঞতা। 

ইতোমধ্যে অনেক ব্যক্তি, ডাইয়োসিস, সামাজিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মসংঘ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করছেন। আমাদের অর্জনসমূহ সমবেতভাবে সহভাগিতা করার পরিবেশ তৈরীর উদ্দেশ্যে ‘লাউদাতো সি সপ্তাহ-২০২২’ এর মূলভাবটি “শোনা এবং সাথে পথচলা” খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। যার যার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক সেবাকাজ আরো গতি পাবে। সত্যিকার অর্থেই ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গন্ডি ত্যাগ করে সুপরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য একসাথে কাজ করা অধিকতর কল্যাণকর হবে। অন্যথায় মাশুল দিতে হবে আগে না হোক অদূর ভবিষ্যতে। আমরা বিশ্বাস করি পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগ মহান কিছু অর্জন সম্ভব হবে। ধরিত্রীর বুকে আনবে নতুন ছন্দ, জাগাবে নতুন আশা। আসুন, একসাথে, একত্রে ‘লাউদাতো সি অ্যাকশন প্লাটফর্ম’ উদ্যোগে আগামী ৭ বছর নিজেদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাসমূহ অবিরত চালিয়ে যাই; ‘আমরা সবুজ, আমরা সুন্দর’ থাকি; আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ সুন্দর নির্মল পৃথিবী গড়ে তুলি। তাঁর প্রশংসা ও মহিমা হোক - লাউদাতো সি!


বিশপ জের্ভাস রোজারিও ডিডি, সভাপতি, ন্যায় ও শান্তি কমিশন, বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনী

ফাদার লিটন হিউবার্ট গমেজ, সিএসসি , সেক্রেটারি, ন্যায় ও শান্তি কমিশন, বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনী